মা-বাবার সঙ্গে প্রীতম। ছবি: অভিজিৎ পাল।
রাজ্যের শীর্ষ তালিকায় স্থান পেল ইসলামপুরের একই স্কুলের দুই পড়ুয়া। প্রীতম দাস রাজ্যে তৃতীয়। বাণীব্রত সিংহ সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানান বলে জানিয়েছে প্রীতম।
বৃহস্পতিবার সকালে বাবার সঙ্গে বসে মাধ্যমিকের ফলাফল টিভিতে দেখছিল প্রীতম। তৃতীয় স্থানে তার নাম ঘোষণা হওয়ায় উল্লাসে ফেটে পড়েন বাড়ির সদস্যরা। ছুটে যান পড়শিরাও। কিছুক্ষণের মধ্যেই ইসলামপুর শহরের মিলনপল্লির বাণীব্রতের বাড়ির লোকজনও জেনে যান, রাজ্যে সপ্তম স্থান পেয়েছে সে। বাণীব্রত বর্তমানে হায়দরাবাদে রয়েছে। পড়াশোনার জন্যই। তবে ইসলামপুর হাইস্কুলের দুই ছাত্রের সাফল্যে খুশি রাজ্যের জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, “ওই দুই ছাত্রকে অভিনন্দন জানাই। আগামী দিনে আরও সফল হোক।” দুই ছাত্রের বাড়িতে যান ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা ইসলামপুর হাইস্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি কানাইয়ালাল অগ্রবালও। তিনি বলেন, “এটা ইসলামপুরের গর্বের বিষয়।”
বাণীব্রত। —নিজস্ব চিত্র।
বাবা মায়ের এক মাত্র ছেলে প্রীতম। বাবা নরেন্দ্রনাথ দাস চোপড়ার কোডগছ হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষক। মা নমিতা দাস গৃহবধু। ইসলামপুর শহরের তিস্তা মোড় এলাকায় বাড়ি। মাধ্যমিকের প্রীতমের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮০। সে বাংলায় পেয়েছে ৯৫, ইংরেজিতে ৯৬, অঙ্কে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, বিজ্ঞানে ৯৯, ইতিহাসে ৯৪ ও ভূগোলে ৯৯। প্রীতম বলেছেন, “স্কুলের শিক্ষকরে োতা রয়েছেন। তার উপরে ৭ জনের কাছে টিউশন পড়েছি। সব দিকেই নজর ছিল বাবার। এমনকী, ইতিহাস পড়াতেন তার মা নমিতা দেবীও। সব শিক্ষকরা সহযোগিতা করেছেন বলেই ভাল ফল করতে পেরেছি।” প্রীতমের বাবার ইচ্ছে ছেলে চিকিৎসক হোক। কিন্তু, সে বৈজ্ঞানিক হতে চায়।
ইসলামপুর হাইস্কুলের ছাত্র বাণীব্রতের বাবা বিনয়বাবু ইসলামপুর স্টেট ফার্ম কলোনি হাইস্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক। মা অনিতা দেবী চোপড়াঝাড় আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষিকা। বাণীব্রত বাবা-মায়ের এক মাত্র সন্তান। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৬। বাংলায়-৯৬, ইংরেজিতে ৯৬, অঙ্কে ৯৮, বিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞান ৯৭, ইতিহাসে ৯১ ও ভূগোলে ৯৮। গান গাওয়া, গিটার বাজানো ও গল্পের বই পড়ার শখ রয়েছে তার।