ধর্ষণে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার

বিয়ের টোপ দিয়ে ফুঁসলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার দুপুরে রায়গঞ্জ থানায় ওই কর্মী বেতন তুলতে গিয়েছিলেন। তখন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়ি রায়গঞ্জ থানার গর্না এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৪৪
Share:

বিয়ের টোপ দিয়ে ফুঁসলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার দুপুরে রায়গঞ্জ থানায় ওই কর্মী বেতন তুলতে গিয়েছিলেন। তখন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়ি রায়গঞ্জ থানার গর্না এলাকায়। এদিন বিকালে মালদহ জেলার চাঁচল থানার পুলিশের হাতে অভিযুক্তকে তুলে দিয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ। আজ, সোমবার ধৃতকে চাচঁলের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ওই যুবক রায়গঞ্জ থানার অধীনে সিভিক পুলিশের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, “সম্প্রতি মালদহ জেলা পুলিশের তরফে উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশকে জানানো হয়, চাঁচল থানা এলাকায় একটি ধর্ষণের মামলায় ওই যুবক অভিযুক্ত। নিয়মিত কাজে যোগ না দিয়ে পালিয়ে থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছিল না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্তকে সিভিক ভলান্টিয়ারের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।” চাঁচলের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পিনাকীরঞ্জন দাস জানান, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে।”

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ২২ বছর বয়সী ওই তরুণীর বাড়ি চাঁচল থানা এলাকায়। অভিযুক্ত যুবকের দূর সম্পর্কের এক পিসির বাড়িও ভগবানপুরে। পিসির বাড়িতে যাতায়াতের সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে ওই যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। প্রায় দেড় বছর আগে ওই তরুণীর পরিবারের তরফে ওই যুবককে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি রাজি হননি বলে দাবি করা হয়েছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ওই যুবক ফের ভগবানপুরে পিসির বাড়িতে বেড়াতে যান। ওই তরুণীর সঙ্গে সে দেখা করতে গেলে ওই তরুণী ও তার পরিবারের লোকজন ফের তাঁকে বিয়ে করার জন্য চাপাচাপি করেন বলে অভিযোগ। তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। ওই তরুণীর প্রতিবেশীদের একাংশ বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার একটি রাস্তায় ওই যুবককে মারধরও করেন বলে অভিযোগ। এর পর অভিযুক্ত দু’দিন ওই তরুণীর বাড়িতে ছিলেন। অভিযোগ, ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি ওই তরুণীকে এখনই বিয়ে করবেন না বলে জানিয়ে পালিয়ে রায়গঞ্জে ফিরে যান। এরপরেই পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীদের পরামর্শে ওই তরুণী চাঁচল থানায় গিয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে।

এদিন রায়গঞ্জ থানার লকআপে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই যুবক দাবি করেন, “ওই তরুণীর সঙ্গে আমার কোনও খারাপ সম্পর্ক ছিল না। ওই তরুণীকে জোর করে আমার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য তার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা আমাকে মারধর করে দু’দিন আটকে রেখেছিল। কোনওভাবে পালিয়ে বেঁচেছি। আগে যদি জানতাম, আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হবে, তা হলে আমিও পুলিশে অভিযোগ না জানিয়ে পালিয়ে আসতাম না।”

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন