নুবাসকে পাঠানো হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে অনশনরত কামতাপুর পিপলস পার্টির (কেপিপি) সহকারী সাধারণ সম্পাদক নুবাস বর্মনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:০৮
Share:

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে অনশনরত কামতাপুর পিপলস পার্টির (কেপিপি) সহকারী সাধারণ সম্পাদক নুবাস বর্মনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হল। শুক্রবার বিকেলে কড়া পুলিশি পাহারায় অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ২৬ মার্চ থেকে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা হাজতে অনশন আন্দোলনে শুরু করেন নুবাসবাবু। গত ২৮ মার্চ সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভারী খাবার নিতে অস্বীকার করলেও চিকিৎসকদের অনুরোধে বুধবার সেখানে দুধ খান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি দেখে মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা নুবাসবাবুকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। সদর হাসপাতালের সুপার সুশান্ত রায় বলেন, “অনশনকারী ভারী খাবার ফিরিয়ে দিচ্ছেন। ওঁর পুরানো কিছু শারীরিক সমস্যাও দেখা দিয়েছে। ওই কারণে আরও ভাল চিকিৎসার জন্য ওঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” চিকিৎসকরা জানান, নুবাসবাবুর পুরনো গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা আছে।

Advertisement

এ দিন হাসপাতালে নুবাসবাবুর সঙ্গে দেখা করেন তাঁর স্ত্রী নমিতা দেবী, কেপিপি-র কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সভাপতি সুভাষ বর্মন। গত ২৬ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে বজরাপাড়ায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ছয়জন কেপিপি নেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞসাবাদের পরে আদালত তাঁদের জেলা কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেয়। গত ২৬ মার্চ আদালতে তোলা হলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ ফের তাঁদের ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয়। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার অভিযোগ তুলে ওই দিন থেকে নুবাসবাবু অনশন আন্দোলনে বসেন। কেপিপি-র সাধারণ সম্পাদক বলেন, “দশ দিন একটানা অনশন করছেন তিনি। প্রশাসনের কেউ হাসপাতালে যায়নি। বৃহস্পতিবার বলা হল উনি দুধ খাচ্ছেন। হঠাৎ এমন কি হল যে সদর হাসপাতালে রাখা সম্ভব হচ্ছে না? সকালে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে ফের আলোচনায় বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement