বছর দুয়েক আগে ঘটা করে শিলান্যাস হয়েছিল বহুমুখী হিমঘরের। কিন্তু এতদিনেও শুরু হয়নি নির্মাণ কাজ। কেন বহুমুখী হিমঘরের কাজ শুরু হয়নি তা জানতেও পারেননি এলাকার কৃষকরা। ২০১২ সালে আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের শালকুমারহাট-২ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ৪০ ডেসিমেল জমির উপর প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়।
কৃষকদের অভিযোগ, উদ্বোধনে এসে মন্ত্রী যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়িত হয়নি। সব্জি উৎপাদনের পর রাখার জায়গা না থাকায় তা দালাল মারফত বেচে দিতে হচ্ছে।
আলিপুরদুয়ার নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির তরফে জানা গিয়েছে, ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট মার্কেটিং বোর্ডের উদ্যোগে কাজ হওয়ার কথা ছিল। ৮০ মেট্রিক টন ক্ষমতার এই হিমঘর তৈরির জন্য নাবার্ডের তরফে গ্রামীন পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল থেকে মঞ্জুর করা হয়েছিল ৮৭ লক্ষ টাকা। তার দরপত্রও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার জানিয়ে দেন, জিনিসের দাম বাড়ায় বাড়তি টাকা দরকার। তারপরে আর কাজ এগোয়নি। আলিপুরদুয়ারের কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় বলেন, “ওই হিমঘর হলে কৃষকেরা খুবই উপকৃত হবেন।”
২০১২ সালে কংগ্রেস পরিচালিত শালকুমারহাট-২ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন কৃষ্ণপদ রায়। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। হিমঘর তৈরির জন্য নিজের জমি বিক্রি করেছিলেন তিনি। কৃষ্ণ বাবু বলেন, “বহুমুখী হিমঘরের কথা শুনে ৪০ ডেসিমেল জমি মাত্র চার লক্ষ টাকায় দিয়েছিলাম। এলাকার কৃষকরা উপকৃত হবেন বলে। শুধু শিলান্যাস হয়েছে। ভাবছি সরকারের কাছে জমি ফেরত চাইব।” এলাকার কৃষকরা জানান, করলা, বেগুন পটল, টোম্যাটোর মতো নানা ধরনের সব্জি হয় এলাকায়। কিন্তু হিমঘর না থাকায় সব্জি রাখতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “ওই বহুমুখী হিমঘর যাতে দ্রুত তৈরী হয় সে জন্য কৃষি বিপণন দফতরের সঙ্গে কথা বলব।”