ইটাহারের নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রীর পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের পরিষদীয় সচিব তথা তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য। অভিযুক্তদের যাতে দ্রুত সাজা হয়, তার জন্যও রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করবে বলে অমলবাবু ছাত্রীর পরিবারের কাছে দাবি করেছেন। শনিবার দুপুরে অমলবাবু ছাত্রীর বাড়ি গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য মোশারফ হোসেন-সহ দলের স্থানীয় নেতা কর্মীরা। ছাত্রীর চিকিৎসা এবং পড়াশোনার জন্য নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের ১৫ হাজার টাকা সাহায্য করেন অমলবাবু। ছাত্রীর পরিবারের তরফে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়। অমলবাবু রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। প্রসঙ্গত এ দন বিকেলেই ছাত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার রাতে ১২ বছরের আদিবাসী ছাত্রী, পিসির সঙ্গে বাড়ির বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিল। রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ পড়শি তিন যুবক ওই বালিকার মুখে কাপড় চেপে পাশের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত শুক্রবার দুপুরে মঙ্গল হেমব্রম, ছোট হেমব্রম ও উত্তম হেমব্রম নামে স্থানীয় তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।
তৃণমূল নেতা অমলবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আমাকে ওই বালিকার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। অভিযুক্তদের যাতে জামিন না হয় এবং তাদের যাতে বন্দি রেখে মামলার শুনানি হয় সেই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।”
এ দিন রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে অমলবাবুর কাছে কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই বালিকার মা বলেন, “আমরা গরিব পরিবার। রাজ্য সরকার আমাদের পাশে না দাঁড়ালে মেয়েটাকে সমাজে ফেরাতে পারব না।”