নতুন ভবন হয়নি, কর্মবিরতি পালন করবেন আইনজীবীরা

শিলান্যাসের পর আড়াই বছর কেটে গেলেও শিলিগুড়ি আদালতের নতুন ভবনের কাজ শুরু না-হওয়ায় ৩ দিনের কর্মবিরতি পালন করে আন্দোলনের পথে নামছেন বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তারা কর্ম বিরতি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:২২
Share:

শিলান্যাসের পর আড়াই বছর কেটে গেলেও শিলিগুড়ি আদালতের নতুন ভবনের কাজ শুরু না-হওয়ায় ৩ দিনের কর্মবিরতি পালন করে আন্দোলনের পথে নামছেন বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তারা কর্ম বিরতি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ, শিলিগুড়ি আদালতের মুনসেফ কোর্টের পুরনো ভবন ভেঙে নতুন করে তৈরি করতে আড়াই বছর আগে প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেল এবং সেই সময় আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। নতুন ভবন তৈরি তো দূরের কথা আজ পর্যন্ত ১ টা ইটও গাঁথা হয়নি বলে অভিযোগ। উল্টে পুরনো ভবন ভেঙে ফেলায় সেখানে থাকা মুনসেফ কোর্ট, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট, বিচার বিভাগীয় অফিস, লিগাল এইড সার্ভিসের কাজকর্ম অন্য জায়গায় কোনও ক্রমে চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আইনজীবীরা।

Advertisement

শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চন্দন দে বলেন, “দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নতুন ভবন তৈরির জন্য প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছিল। ৪ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দও করা হয় নতুন ভবনের জন্য। অথচ আজ পর্যন্ত ওই ভবনের কোনও কাজ শুরু হয়নি। প্রতিবাদে আমরা ৩ দিনের কর্ম বিরতি করছি। তার পরেও কাজ না-হলে বড় ধরনের আন্দোলনে নামা হবে।” আগামী সোমবার বার অ্যাসোসিয়েশনের বিশেষ সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। শিলিগুড়িতে পূর্ত দফতরের নর্থবেঙ্গল কনস্ট্রাকশন বিভাগের এক আধিকারিক জানান, ওই নির্মাণ কাজের বিষয়টি দার্জিলিং জেলা পূর্ত দফতরের তরফে দেখার কথা। বিস্তারিত তাঁদের জানা নেই।

বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ তলা ওই ভবন তৈরির কথা ছিল। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট হওয়ায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, সিটি সিভিল কোর্ট, সিসি কোর্ট চালু হওয়ার কথা। তাতে জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্ভুক্ত শিলিগুড়ি সংলগ্ন ভক্তিনগর এলাকার বাসিন্দাদের প্রশাসনিক কাজের জন্য জলপাইগুড়ি যেতে হবে না। নতুন ভবনেই সেই সমস্ত বিভাগ চালু করার কথা হয়েছিল। অথচ আড়াই বছরেও সেই ভবন তৈরির কাজ শুরুই হল না। চন্দনবাবু জানান, নতুন ভবনের কাজ কী কারণে আটকে রয়েছে তা তাঁরা বুঝতে পারছে না। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, প্রধান বিচারপতি, আইন বিভাগ সর্বত্রই তারা যোগাযোগ করেছেন, চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু ওই ভবনের নির্মাণ কাজ নিয়ে কেউই আশ্বাস দিতে পারছেন না। সে কারণেই তাঁরা উদ্বিগ্ন।

Advertisement

নতুন ভবন তৈরির জন্য পুরনো ভবনটি ভেঙে ফেলায় বর্তমানে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত ভবনের উপর তলায় ছোট ছোট ঘরে মুনসেফ কোর্ট, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চলছে। সেখানে ৬ ফুট লম্বা আর ৪ ফুট চওড়া ঘরে জায়গার অভাবে কাজকর্ম করতে অসুবিধা হচ্ছে। বারান্দায় কাজ কর্ম করতে হচ্ছে আইনজীবীদের। তা ছাড়া কোর্টে কাজকর্মে যাঁরা আসছেন সেই সমস্ত বিচার প্রার্থী বাসিন্দাদেরও জায়গার অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন