নদীতে জল কমলেও ভিন্‌ রাজ্যে ফের বৃষ্টিতে বন্যা-আশঙ্কা

২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ সেন্টিমিটার জল কমল ফুলহারে। কিন্তু জল কমলেও মঙ্গলবার দিনও মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ায় বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে ফুলহার। ফলে ওই দু’টি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। জলস্তর কমায় খিদিরপুরে নদী ভাঙন শুরু হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৪ ০২:২৬
Share:

২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ সেন্টিমিটার জল কমল ফুলহারে। কিন্তু জল কমলেও মঙ্গলবার দিনও মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ায় বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে ফুলহার। ফলে ওই দু’টি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। জলস্তর কমায় খিদিরপুরে নদী ভাঙন শুরু হয়েছিল। সেখানে ভাঙন রোধে সোমবার রাত থেকেই কাজ শুরু করে সেচ দফতর। জরুরি ভিত্তিতে সারারাত ধরে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে জলস্তর কমলেও বিহার ও নেপালে প্রবল বৃষ্টিপাত সেচ দফতর ও প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, নদীর জল কমলেও বিহার ও নেপালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ওই জল পরে নেমে আসে ফুলহারে। সেজন্য ৭২ ঘণ্টা সময় নেয়। ফলে সাময়িক স্বস্তি মিললেও দিন তিনেক বাদে ফের পরিস্থিতি কী হবে তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ফলে ঝুঁকি না নিয়ে প্রশাসনের তরফে সব রকম প্রস্তুতি সেরে রাখা হচ্ছে। পঞ্চায়েতগুলিতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। এ দিন বিকেলে রতুয়ায় এসে পৌঁছেছেন বিপর্য়য় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। বুধবার সকালেই তাদের সম্ভাব্য দুর্গত এলাকায় পাঠানো হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জীব দে বলেন, “প্রশাসনের তরফে সব রকম ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।”

সেচ দফতর সূত্রে জানা যায়, সোমবার নদীর জলস্তর ছিল ২৮.৫০ মিটার। মঙ্গলবার দুপুরে তা দাঁড়ায় ২৮.৩৯ মিটারে। যা অসংরক্ষিত এলাকায় বিপদসীমার থেকে ৯৬ সেন্টিমিটার ও সংরক্ষিত এলাকায় বিপদসীমার থেকে ৪ সেন্টিমিটার বেশি। সেচ দফতরের মহানন্দা এমব্যাঙ্কমেন্টের ভালুকা ডিভিশনের এসডিও গোপাল দাস বলেন, “ফুলহারে জল কমেছে। তবে খিদিরপুরে ভাঙন শুরু হয়েছিল। সেখানে ভাঙন রোধের কাজ করা হয়েছে। আপাতত দুশ্চিন্তার কিছু নেই।”

Advertisement

টানা বৃষ্টির জেরে শনিবার থেকে জল বাড়তে শুরু করে ফুলহারে। রবিবার দুপুরে নদীর জলস্তর বিপদসীমা পেরিয়ে যায়। ফলে হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ার অসংরক্ষিত এলাকাগুলির অধিকাংশই প্লাবিত হয়ে পড়ে। এলাকার রাস্তাঘাট, মাঠের ফসল জলে ডুবে যায়। এখনও তা ডুবে রয়েছে। তার পর থেকেই জলবন্দি হয়ে পড়েছেন ১৫টি গ্রামের বাসিন্দা। যার মধ্যে রতুয়া-১ ব্লকের জঞ্জালীটোলা, নয়া বিলাইমারি, বঙ্কুটোলা, টিকলিচর, আজিজটোলা ছাড়াও হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের উত্তর ভাকুরিয়া, দক্ষিণ ভাকুরিয়া, কাওয়াডোল, মীরপুর, রশিদপুর। জল ঢুকে রাস্তাঘাট ডুবে গিয়েছে। পটল, ঢেঁড়শ, লঙ্কার খেতও জলের তলায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন