পাখির চোখ বিধানসভা, বললেন অভিষেক

তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে কংগ্রেস এবং সিপিএম কাউন্সিলারদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ফণীন্দ্রদেব ইন্সটিটিউট ময়দানে আয়োজিত যুব সমাবেশে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, যখন রাজ্য সরকার জলপাইগুড়ি শহর উন্নয়নের জন্য টাকা দিল তখন কেন কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতৃত্ব অনাস্থা আনলেন? বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব মানা হবেনা বলে এক বিধায়ক সভামঞ্চ থেকে ঘোষণাও করে দিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৪ ০২:২১
Share:

তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে কংগ্রেস এবং সিপিএম কাউন্সিলারদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ফণীন্দ্রদেব ইন্সটিটিউট ময়দানে আয়োজিত যুব সমাবেশে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, যখন রাজ্য সরকার জলপাইগুড়ি শহর উন্নয়নের জন্য টাকা দিল তখন কেন কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতৃত্ব অনাস্থা আনলেন? বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব মানা হবেনা বলে এক বিধায়ক সভামঞ্চ থেকে ঘোষণাও করে দিলেন।

Advertisement

২৫ আসনের জলপাইগুড়ি পুরসভায় বর্তমানে তৃণমূল কাউন্সিলর রয়েছেন ১০ জন। ৭ জন কংগ্রেস এবং ৮ জন বামফ্রন্ট কাউন্সিলার গত ২৮ অক্টোবর সংখ্যালঘুর পুর বোর্ড অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি পাঠায় চেয়ারম্যানকে। গত ১৫ নভেম্বর পুরসভার চেয়ারম্যান দাবি করেন, পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করেছে মিউনিসিপাল অ্যাফেয়ার্স দফতর। এই অনাস্থা প্রসঙ্গে অভিষেকবাবু বলেন, রাজ্যসরকার যখন শহরের উন্নয়নের জন্য পুরসভাকে ৫ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা দিল তখন কেন অনাস্থা আনা হল? কাস্তে-হাতুড়ি-তারা জলপাইগুড়ি শহরকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে ছেড়েছে। আমরা নতুন করে গড়ার কাজ শুরু করেছি।”

২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে জলপাইগুড়ি জেলার প্রতিটি বুথে তৃণমূল সৈনিক গড়ে তোলারও নির্দেশ দিলেন দলের সাংসদ তথা যুব সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক। তিনি জানান, ওই সৈনিক বাহিনী বুথ এলাকার প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে। দলের কথা ঘরে পৌঁছে দেবে।

Advertisement

তৃণমূল সাংসদ বলেন, “প্রতিটি বুথে বিবেকানন্দ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে বিশ্বাসী তৃণমূল সৈনিক গড়ে তুলতে হবে।” একটি বুথে কতজন সৈনিক থাকবেন, তাঁদের কাজ কি হবে সেটাও স্পষ্ট করে দেন সাংসদ। তিনি বলেন, “প্রতিটি বুথে ৫০ জন সৈনিক তুলে আনতে হবে। প্রত্যেকে এলাকার পাঁচটি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। তাঁদের সমস্যার কথা শুনে ব্যবস্থা নেবেন।” কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে ওই সৈনিকদের গড়ে তোলা হবে? সভা শেষে তার উত্তর দিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি বলেন,“এলাকায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে ও সমাজসেবায় উৎসাহী এরকম ছেলেমেয়েদের সৈনিক হিসেবে তুলে আনা হবে।”

সভার শুরু থেকে বিজেপি এবং সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ছিলেন অভিষেক। তাঁর অভিযোগ, “দিল্লি থেকে নেতাদের পাঠিয়ে রাজ্যে কুৎসার ঝড় তুলছে বিজেপি। রাজ্যে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন