পুজোয় নয়া পর্যটন কেন্দ্র মালবাজারে

পুজোতে পর্যটকদের নতুন গন্তব্যের হদিশ দিতে উদ্যোগী হয়েছে মালবাজার মহকুমা প্রশাসন। গরুমারা লাগোয়া লাটাগুড়ি, মূর্তি, ধূপঝোরা বা সামসিং সর্বত্রই পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। এবার নতুন পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করেছে মালবাজারের মহকুমা প্রশাসন। এ ছাড়াও যারা ডুয়ার্সের পথে ঘুরতে বেড়িয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার জন্যও তৈরি হচ্ছে বিশ্রামাগার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৪ ০২:৪৩
Share:

সাইলিতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার প্রক্রিয়া চলছে। —ফাইল চিত্র।

পুজোতে পর্যটকদের নতুন গন্তব্যের হদিশ দিতে উদ্যোগী হয়েছে মালবাজার মহকুমা প্রশাসন। গরুমারা লাগোয়া লাটাগুড়ি, মূর্তি, ধূপঝোরা বা সামসিং সর্বত্রই পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। এবার নতুন পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করেছে মালবাজারের মহকুমা প্রশাসন। এ ছাড়াও যারা ডুয়ার্সের পথে ঘুরতে বেড়িয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার জন্যও তৈরি হচ্ছে বিশ্রামাগার।

Advertisement

মালবাজার শহর থেকে ১৫ কিমি দূরে পশ্চিম ডামডিম এলাকায় চেল নদীর ধারে চা বাগান লাগোয়া এলাকায় ১৯ বিঘা এলাকায় তৈরি হয়েছে পর্যটন আবাস। চেল নদীর ওপারে কাঠামবাড়ি আর তারঘেরার জঙ্গল। ভুট্টাবাড়ির জঙ্গল থেকে হাতির পাল প্রায় রাতেই পশ্চিম ডামডিম থেকে চেল নদী পেরিয়ে জঙ্গলে ঢুকে যায়। হাতিদের এই যাতায়াত দেখাই অন্যতম আকর্ষণ এই পর্যটন কেন্দ্রের। ছয়টি কটেজ রয়েছে এই কেন্দ্রে। নাম এখনও চূড়ান্ত না হলেও আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকেই পর্যটকদের জন্যে খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে মালবাজারের মহকুমা প্রশাসন। রিসর্টে তদারকি, রান্না সব কিছুর দায়িত্বে থাকবে ডামডিম, বেতগুড়ি, কুমলাইয়ে চা বাগানের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা।

বুকিং করতে হলে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট কিংবা মালবাজার মহকুমা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। কটেজগুলিতে থাকা খাওয়ার জন্য কত খরচ পড়বে তাও এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানানো হয়েছে। অন্য দিকে যারা শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি বা বাইকে চেপে ডুয়ার্সে আসেন, তাদের সাময়িক বিশ্রামের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে মালবাজার এবং চালসার মাঝখানে মেটেলি ব্লকের শালবাড়ি মোড়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই পর্যটন বিশ্রামাগার তৈরির কাজও প্রায় শেষের পথে বলে জানানো হয়েছে। এই কেন্দ্রে পর্যটকেরা স্নান করে নিতে পারবেন, সঙ্গে চা জলখাবারের ব্যবস্থাও থাকবে। বাইরে থেকে খাবার নিয়ে এসেও খাওয়া যেতে পারে। প্রায় দুই বিঘারও বেশি জায়গায় এখানে তৈরি হচ্ছে উদ্যান, কৃত্রিম জলাশয়। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই পর্যটকদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে বলে জানান মেটেলির বিডিও মহুয়া বন্দোপাধ্যায়। মেটেলি ব্লকের মেটেলি বাজার লাগোয়া রাষ্ট্রভাষা স্কুলের কাছে একটি পর্যটক বিশ্রামাগার তৈরির কাজ চলছে। চালসা লাগোয়া খড়িয়ার বন্দরের জঙ্গল বা টিয়াবন লাগোয়া এলাকাতে ৮বিঘারও বেশি জায়গা নিয়ে মেটেলি ব্লক প্রশাসন কটেজ আকারে রিসর্ট তৈরির কাজও শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

তবে সেটি অবশ্য এবারে পুজোতে শেষ হচ্ছে না। মালবাজারের মহকুমা শাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি বলেছেন, “জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা জুড়ে পর্যটন বিকাশের উদ্যোগ গত বছর থেকেই নেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ব্লক ভিত্তিক একাধিক পর্যটন কেন্দ্র খোঁজার কাজ শুরু হয়। তবে পশ্চিম ডামডিম একেবারেই আনকোরা এলাকা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন