পূর্ণাঙ্গ থানা চায় বারবিশা

অসম ভূটান সীমান্তে কুমারগ্রাম ব্লকের বারবিশায় প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ থানা তৈরি করার দাবিতে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কুমারগ্রাম থেকে কেএলওর আন্দোলন শুরু হয়। এক সময় কুমারগ্রাম জুড়ে কেএলও জঙ্গি গোষ্ঠী অপহরণ, খুন বিস্ফোরণ-সহ বেশ কিছু নাশকতা চালায়। কয়েক মাস আগেও বারবিশা বাসস্ট্যান্ডে ভুটানগামী বাসে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শামুকতলা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৪ ০১:৩৭
Share:

অসম ভূটান সীমান্তে কুমারগ্রাম ব্লকের বারবিশায় প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ থানা তৈরি করার দাবিতে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কুমারগ্রাম থেকে কেএলওর আন্দোলন শুরু হয়। এক সময় কুমারগ্রাম জুড়ে কেএলও জঙ্গি গোষ্ঠী অপহরণ, খুন বিস্ফোরণ-সহ বেশ কিছু নাশকতা চালায়। কয়েক মাস আগেও বারবিশা বাসস্ট্যান্ডে ভুটানগামী বাসে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। জখম ছয় জন। সাম্প্রতিক জঙ্গি কার্যকলাপে ফের কেএলও-র নাম উঠে আসায় এলাকার বাসিন্দারা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতিতে অসম ও ভুটান সীমানার বারবিশায় প্রস্তাবিত থানা স্থাপন যে জরুরি সেটা জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবিপত্র পাঠিয়েছেন।

Advertisement

তাঁদের অভিযোগ, বারবিশা-সহ গোটা এলাকা জঙ্গি উপদ্রুত হলেও একটি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। বারবিশায় হাতে গোনা কয়েক জন কর্মী দিয়ে চলছে ফাঁড়ি। বারবিশা ব্যবসায়ী সমিতি সম্পাদক কার্তিক সাহা বলেন, “২০০৬ সালে জঙ্গি মোকাবিলায় অসম-ভুটান সীমান্তের বারবিশা থানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বিধানসভায় সে সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। থানা স্থাপনের জন্য ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে সাড়ে তিন বিঘা জমিও দেওয়া হয়। কিন্ত আজ পর্যন্ত থানা হয়নি।” তিনি বলেন, “এলাকার নিরাপত্তা ও জঙ্গি কার্যকলাপ রোধে দ্রুত বারবিশায় পূর্ণাঙ্গ থানা স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।”

জঙ্গল ও পাহাড় ঘেরা অসম ও ভুটান সীমান্ত জঙ্গি উপদ্রুত এই এলাকা বরাবর স্পর্শকাতর। আগে বারবিশা ও পার্শ্ববর্তী চার জন ব্যবসায়ী অপহরণের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া দু’জন ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় জঙ্গিরা। এর মধ্যে দু’টি ঘটনায় জঙ্গিরা গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। গুলিতে জখম হন এক ব্যবসায়ী। বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। ব্যবসায়ীদের মুক্তিপণ চেয়ে চিঠিও পাঠায় কেএলও জঙ্গিরা। এই সময় কেএলও ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে বারবিশায় পূর্ণাঙ্গ থানা একান্ত জরুরি।

Advertisement

আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া এদিন বলেন, “নিরাপত্তা আটোসাঁটো করা হয়েছে। অসম ও ভুটান সীমান্ত এলাকায় নাকা চেকিং রয়েছে। নিরাপত্তায় ঘাটতি রাখা হয়নি। থানা স্থাপনে রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতোই কাজ করা হবে।”

সাম্প্রতিক কালে জঙ্গি কার্যকলাপ
• ১৮ মার্চ ২০১২ বারবিশার ব্যবসায়ী তাপস সাহাকে কুমারগ্রামের বালাপাড়া থেকে অপহরণ।
• ৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ কুমারগ্রামের পাগলাহাট এলাকায় মুন্না গুপ্তা নামে এক ব্যবসায়ী অপহরণের চেষ্টা।
• ১০ অক্টোবর ২০১২ কুমারগ্রামের রায়ডাক চা বাগানগামী যাত্রিবাহী বাস থেকে উদ্ধার টাইম বোমা। ধৃত ২।
• ৩১ জানুয়ারি ২০১৩ ঘোড়ামারা বাজারে রাজকুমার নেওয়ার নামে মুদি ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা।
• ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ কুমারগ্রাম থানার কামাখ্যাগুড়ি স্টেশনের কাছে কেএলও জঙ্গি প্রদীপ রায় গ্রেফতার।
• ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ রঘুকে জেরা করে অসম থেকে এইচ কে ৩৩ রাইফেল, কার্তুজ ও গ্রেনেড উদ্ধার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন