এবার গান গেয়ে কর্মীদের মন জয় করার চেষ্টা করলেন তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ। শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুরের পতিরামে সাহাপাড়ায় বালুরঘাট ব্লকের কর্মিসভা ছিল। প্রার্থী পরিচয় করার পরে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন অর্পিতা। কেন সাংস্কৃতিক জগতের ব্যক্তিত্বদের তৃণমূল প্রার্থী করেছে, তার ব্যাখ্যাও দেন তিনি। তার পরেই খালি গলায় গান গেয়ে ওঠেন তিনি। রাজ্যের বতর্মান সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি নিজেই সেই গান লিখে সুর দিয়েছেন বলে জানান অর্পিতা।
‘তোলো আওয়াজ, তোলো আওয়াজ! বাংলা হাসছে, তোলো আওয়াজ! পাহাড় হাসছে, জঙ্গল হাসছে, বাংলা বেঁচেছে, তোলো আওয়াজ, তোলো আওয়াজ’।এই কলি শুনে সাহাপাড়া উৎসব ভবনে হাততালির ঝড় ওঠে। আগে দু’দিন অবশ্য তৃণমূলের কর্মিসভা এবং জেলা কমিটির সভায় অর্পিতাকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল। এ দিন কোনও প্রশ্নে কর্মিসভার ছন্দপতন হয়নি। ১১টি অঞ্চলের কর্মীদের ভিড়ে ঠাসা উৎসব ভবনে অর্পিতার গানের তালে তালে হাততালি শোনা গিয়েছে। এ দিনের সভায় ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে শেষ মুহূর্তে ভবনের সামনে সামিয়ানা খাটাতে হয় জেলা নেতৃত্বকে। জেলা নেতাদের বক্তব্যের পরে অর্পিতা মঞ্চে ভাষণ দেন। এ দিন অবশ্য তিনি বক্তৃতার শুরুতে নিজের ‘রাজনৈতিক’ পরিচয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার সংস্কৃতীর অতীত গৌরব ফেরাতে সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে যুক্তদের প্রার্থী করেছেন। আমি আদপে রাজনীতির লোক নই। কিন্তু ২০০৬ সালে পশুখামার নাটক করি এরপর সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাইয়ের ঘটনায় আমাদের নাট্যদলের অফিসে বসেই প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত হয়। সুশীলসমাজকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আপনারা আছেন। আপনাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি, সব শিখে নেব।” প্রার্থীর এই কথা শুনে তুমুল হাততালি শুরু হয়। তারপরেই গান ধরেন তিনি।
বহিরাগত অভিযোগেরও এ দিন উত্তর দিয়েছেন বালুরঘাটের প্রার্থী। বক্তৃতায় অর্পিতা বলেন, “বিরোধীরা আমাকে বহিরাগত বলছেন। কিন্তু এতদিন ভূমিপুত্র সাংসদরা কী উন্নতি করছে, তাও ওদের বলতে হবে।” গানের সঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণ। নিজের রাজনৈতিক পরিচয় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা তুলে বার্তা দেওয়াসব বিষয়ে কর্মিসভায় অর্পিতার সরব হওয়া স্থানীয় কর্মীদের উৎসাহিত করবে বলে তৃণমূল নেতারা দাবি করেছেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী, দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র-সহ অন্যরা।