আত্রেয়ী থেকে মহানন্দা, উত্তরবঙ্গে কড়া পুলিশ প্রহরায় নির্বিঘ্নেই হল প্রতিমা বিসর্জন।
শনিবার রাতভর প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকাতেই। শিলিগুড়িতে রাত প্রায় দেড়টা পর্যন্ত মহানন্দার ঘাটে বসে বিসর্জনের তদারকি করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “পুরসভার একাধিক টিম কাজে নেমে সারারাত মহানন্দার ঘাট পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করেছে। সেই চেষ্টা অনেকটাই ফলপ্রসূ হয়েছে। ছট পুজো ও দেওয়ালিতেও একইভাবে শহরে সাফাইয়ে জন্য একাধিক টিম রাতভর কাজ করবে।”
মালদহেও বিসর্জনের পুরোদস্তুর তদারকি করেছে পুরসভা ও প্রশাসন। শনিবার বেশ কিছু প্রতিমা বিসর্জন করা হয়েছিল। বাকি প্রতিমা বিসর্জন করা হয়েছে রবিবার। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সুষ্ঠুভাবে বিসর্জন সম্পন্ন করতে ও দূষণ এড়াতে মালদহ শহরের মিশনঘাটে মশারির জাল দিয়ে এলাকাটি ঘিরে দেওয়া হয়েছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মহানন্দায় স্পিড বোটেরও ব্যবস্থা ছিল। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরাও ছিলেন। দশমীর সন্ধ্যায় মালদহে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ছাড়া পুজোর ক’টা দিন বেশ ভালো ভাবেই মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরেছেন দর্শকেরা। শনিবার মালদহ ডিএসএ ময়দানে প্রতিবারের মতো এবারও দর্শনীয় দশেরা উৎসব পালন করা হয়। চাঁচলেও দশেরা উৎসব পালিত হয়।
কোচবিহারের তোর্সার ঘাটে শনিবার প্রতিমা নিরঞ্জন হলেও নদীবক্ষ পুরোপুরি পরিষ্কার হয়নি। শনিবার এবং রবিবার দুই দিনই বিজর্সন হয়। পুরসভার তরফে ঘাটের তদারকি করা হয়। বেশ কিছু পুজো কমিটি বিসর্জনের পর নিজেরাই কাঠামো তুলে নিয়ে যান। তবে এদিন দুপুর অবধি বেশ কিছু কাঠামো নদীতে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, এদিন বিসর্জন শেষ হতেই নদী পরিষ্কার করে দেওয়া হবে।
রায়গঞ্জের কুলিক নদীর খরমুজা ঘাট এবং বন্দরঘাটে শনিবার রাতেই অধিকাংশ বিসর্জন হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে দু’টি ঘাটেই কোনও ক্লাবের সদস্যকে নদীতে নামতে দেওয়া হয়নি। ঘাটের ৫০-১০০ মিটার আগেই গাড়ি থেকে কাঠামো নামিয়ে তাঁরাই প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে দিয়েছেন। রাসবিহারী মার্কেট এবং হাইরোডপাড়া এলাকায় পুকুরেও বিসর্জন হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট আত্রেয়ী, গঙ্গারামপুরে পুর্নভবা এবং হিলিতে যমুনা নদীতে শনিবার রাত অবধি অধিকাংশ পুজোর বিসর্জন হয়েছে। আজ, সোমবার ফের বাকি প্রতিমার নিরঞ্জন হবে। তিন জায়গাতেই বিসর্জন উপলক্ষ্যে মেলাও বসে ঘাটগুলিতে।