তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যাকে মারধর ও তাঁর বাড়ির বেড়া ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে আলিপুরদুয়ারের দমনপুর এলাকায়। আলিপুরদুয়ার থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। ফের দলীয় কোন্দলের ঘটনা সামনে আসায় অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব।
আলিপুরদুয়ার থানার আইসি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন,‘‘রাতে বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে বিবেকানন্দ গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য স্টেফি বর্মন থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি।’’
অভিযোগ, মঙ্গবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ২০-২৫ জন দুষ্কৃতী পঞ্চায়েত সদস্য স্টেফি বর্মনের বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ির একদিকের বাঁশের বেড়া ভেঙে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত সদস্যার গলা টিপে ধরে আক্রমণকারীরা। তাঁকে বাঁচাতে তাঁর মা এগিয়ে আসলে তাঁকেও হেনস্থা করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য স্টেফি বর্মন বলেন, “এলাকার বাসিন্দা সুমিত শূর ও হীরেন্দ্রনাথ সরকারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন রাতে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। ওরা দুজন আমার গলা টিপে ধরে। মা বাঁচাতে আসলে তাঁকেও মারধর করে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের উস্কানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে।”
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার সহসভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “দলীয় কর্মীরা ওই পঞ্চায়েতের বাড়ি হামলা করে থাকলে তা নিন্দাজনক। যেই এই কাজ করে থাকুক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী সুমিত শূর বলেন, ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে অভিযোগ রয়েছে বাসিন্দাদের। কিছুদিন আগে ইন্দিরা আবাসের ১২ টি ঘর তৈরির অনুমোদন এসেছিল। তিনি মাত্র ছ’টি ঘরের জন্য অফিসে তালিকা জমা দেয়। পরে এলাকার বাসিন্দা ও তৃণমূল নেতৃত্ব আলোচনা করে বাকি ছ’টি ঘরের জন্য আলাদা তালিকা জমা দেয়। বিষয়টি জানতে পেরেই তালিকা বাতিলের জন্য ওই পঞ্চায়েত সদস্য গত জুলাই মাসে প্রধানকে চিঠি করেন। এতেই ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা। উনি মিথ্যে অভিযোগ আনছেন।”