বাজেট পাশ হয়নি, বন্ধ উন্নয়ন কাজ

গত আর্থিক বছরের মার্চ মাস পার হয়ে গিয়েছে। অথচ কংগ্রেস পরিচালিত মালদহ জেলা পরিষদ ২০১৪-১৫ সালের বাজেটই তৈরি করতে পারেনি বলে অভিযোগ। বিরোধীদের নালিশ, ২০১৪-২০১৫ আর্থিক বছরে বাজেট পাশ না হওয়ায় জেলা পরিষদের সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ থমকে যাবে। নতুন আর্থিক বছর মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মালদহ জেলা পরিষদ এক টাকাও খরচ করতে পারবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৪০
Share:

গত আর্থিক বছরের মার্চ মাস পার হয়ে গিয়েছে। অথচ কংগ্রেস পরিচালিত মালদহ জেলা পরিষদ ২০১৪-১৫ সালের বাজেটই তৈরি করতে পারেনি বলে অভিযোগ। বিরোধীদের নালিশ, ২০১৪-২০১৫ আর্থিক বছরে বাজেট পাশ না হওয়ায় জেলা পরিষদের সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ থমকে যাবে। নতুন আর্থিক বছর মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মালদহ জেলা পরিষদ এক টাকাও খরচ করতে পারবে না। এ দিকে বাজেট পাশ না হওয়ায় জেলার উন্নয়নের কাজ থমকে যাওয়ায় জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ, আধিকারিকদের দোষারোপ করেছেন জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা শেখ খলিল ও পরিষদের তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা তথা প্রাক্তন সভাধিপতি উজ্জল চৌধুরী।

Advertisement

সিপিএমের শেখ খলিল বলেন, “জেলা পরিষদের অতিরিক্ত নিবার্হী আধিকারিক (এইও) ও কংগ্রেস যোগসাজস করে ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরের বাজেটের খসড়াই তৈরি করেনি। এখন লোকসভা নিবার্চন। দুই-তিন মাসের আগে বাজেট করে পাশ করা সম্ভব নয়। আমরা বহু বার সভাধিপতি ও এইওকে বাজেট তৈরি করে পাশ করানোর অনুরোধ করি। কিন্তু কেউই কথা শোনেননি। বাজেট পাশ না হওয়ায় জেলার সমস্ত উন্নয়নের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে।”

রাজ্যের পঞ্চায়েত আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বাজেট পাশ না হলে ১ এপ্রিল থেকে এক টাকাও খরচ করা যাবে না। এমনকি কোনও প্রকল্পের কাজও হাতে নেওয়া যাবে না। জেলা পরিষদের তৃণমূলের দলনেতা উজ্জল চৌধুরী বলেন, “বাজেট পাশ হয়ে থাকলে লোকসভা ভোটের পরই কাজ শুরু করা যেত। কিন্তু বাজেট পাশ না হওয়া ভোটের পর থেকে উন্নয়ন থমকে যাবে। সভাধিপতির কোনও হেলদোল নেই।” এই প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের কংগ্রেস সভাধিপতি সরলা মুর্মু বলেন, “বাজেট যদি পাশ হয়ে গেলেও এই লোকসভা ভোটের সময় কাজ করা যেত না। তাতে লাভ হত না। লোকসভা নিবার্চনের পর বাজেট পাশ করে জেলার উন্নয়নের কাজ হবে।” জেলা পরিষদের এইও অমল কান্তি রায় জানান, ২০১৩-২০১৪ সালের বাজেট ১৬ ডিসেম্বর পাশ করানো হয়েছে। ২০১৩-২০১৪ আর্থিক বছরের বাজেট দেরিতে পাশ করানোর জন্য ২০১৪-২০১৫ আর্থিক বছরের বাজেট তৈরি করতে দেরি হয়। তিনি বলেন, “জেলা পরিষদে বিভিন্ন কাজের খরচের জন্য রাজ্যে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরেরে কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন চলে এলে আর কাজ করতে অসুবিধা হবে না।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন