ডুয়ার্সে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে আশঙ্কা পার্থর

বিজেপি রাজ্য ভাগ করবে

দেশে ক্ষমতায় এলে বিজেপি রাজ্য ভাগ করতে পারে বলে ডুয়ার্সের সভায় আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি নাথুয়ায় সভা করেন পার্থবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৪ ০২:১১
Share:

দেশে ক্ষমতায় এলে বিজেপি রাজ্য ভাগ করতে পারে বলে ডুয়ার্সের সভায় আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি নাথুয়ায় সভা করেন পার্থবাবু। তিনি বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। যদি রাজ্যকে না বলে তা করে, আমরা মেনে নেব না। রাজ্য ভাগ করার চেষ্টা শক্ত ভাবে বাধা দেব।” পার্থবাবুর বলেছেন, “পাহাড়ের মানুষের জন্য রাজ্য উন্নয়নমূলক কাজ করছে। পাহাড়ে মানুষ এখন সরকারের পক্ষে। পাহাড় সমস্যাও মেটানো সম্ভব হয়েছে। রাজ্যে বিজেপির-র পায়ের তলায় মাটি নেই।” পার্থবাবু বলেছেন, “বিজেপি-র আছে মোদি আর গদি। আর টেলিভিশনে ছবি। আমি কয়েক জন বিজেপি নেতাকে বলেছি, তাঁরা এ রাজ্যে পদ্ম ফোটানো তো দূরে থাক, শ্যাওলা ফোটাতে পারবেন না।”

Advertisement

নাথুয়া গ্রামে সভায় পার্থবাবু দাবি করেছেন, নির্বাচনের পর লোকজনকে ১০০ দিনের কাজ সারা বছরে ২০০ দিন দেওয়া হবে। এক সময় দাম না পেয়ে উত্তরবঙ্গের কৃষকরা ৪০ শতাংশ আলু ও টমেটো রাস্তায় ফেলে দিতেন। প্রতিটি ব্লকে হিমঘর তৈরি করা হবে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল করা হয়েছে। আরও কাজ হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে জাতীয় সড়কগুলির অবস্থার জন্য দুষেছেন পার্থবাবু। চা শিল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের কথা ভেবে চায়ের উপর সেস তোলা হয়েছে। বন্ধ চা বাগানে মৃত্যুর মিছিল দেখা দিলেও, রাজ্যের নানা প্রকল্পের মাধ্যমে তা রোধ করা গিয়েছে। ধর্মঘটের রাজনীতি বন্ধ করে শ্রমিক- মালিক সম্পর্ক ভাল করা হয়েছে এ রাজ্যে।

জনসভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যের কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্নাও। তিনি তিনি বলেন, “বর্তমানে রাজ্যে চাষিরা চড়া দাম দিয়ে পাঞ্জাব থেকে আসা বীজ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। কৃষকদের দিকে তাকিয়ে সরকার এ বছর থেকে আলু বীজ উৎপাদনে উদ্যোগী হয়েছে। কার্শিয়ঙের ৩৫৮ একর জমি, কেশপুর কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে আলু বীজ উৎপাদন হবে।” সিপিএমকে একহাত নিয়ে তিনি বলেছেন, “এ রাজ্যে আলু বীজ উৎপাদন করা হলে পঞ্জাবের ব্যবসায়ীরা মার খাবে তা বুঝতে পেরে সিপিএম কোনও রকম উদ্যোগ নেয়নি। ভিন রাজ্যের ওই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কমিশন আদায় করেছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন