আজ মহাষষ্ঠী। পঞ্চমীর রাতেই ভিড় (বাঁ দিকে) শিলিগুড়ি রথখোলার একটি পুজো মণ্ডপে। নিজস্ব চিত্র। (ডান দিকে) জলপাইগুড়ির একটি মণ্ডপে প্রতিমা। ছবি: সন্দীপ পাল।
বাজারে ভিড়ের জন্য দিনভর যানজট ছিল শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ির বিভিন্ন ব্যস্ত রাস্তায়। বিকেল গড়াতেই এই ভিড় মণ্ডপমুখী। সন্ধ্যায় দুই শহরের রাস্তার ভিড় দেখে এ দিন পঞ্চমী না সপ্তমী বোঝার উপায় ছিল না। শিলিগুড়ির রথখোলা স্পোর্টিং থেকে সূর্যনগর ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন, সেন্ট্রাল কলোনির মন্ডপ, সর্বত্রই ভিড় উপচে পড়ে। জলপাইগুড়ির সমাজপাড়া থেকে দিশারীর মণ্ডপের সামনেও ছিল কালো মাথার সারি। সাধারণত ষষ্ঠীর দিন থেকে পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র চালু হয়। তবে এ দিন সন্ধ্যাতেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে বাড়তি পুলিশ কর্মী মোতায়েন করতে হয়।
সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুজোর বাজার বা ঠাকুর দেখায় বাধ সাধেনি বৃষ্টি। নিম্নচাপের জেরে গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পরে সোমবার দিনভরই শরতের আকাশ নজরে এসেছে। তাই শেষমুহুর্তের কেনাকাটা সারতে সকাল থেকেই শিলিগুড়ির বিধান রোড, সেবক রোড, হিলকার্ট রোডের বিভিন্ন দোকানে ভিড় করেন মানুষ। এ দিন বিকেল থেকেই বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া শুরু হয়, তার জেরে হিলকার্ট রোড, সেবক রোডে ফের একপ্রস্ত যানজট হয়। তবে প্রতিমা মণ্ডপে নিয়ে যাওয়ার আগে থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গিয়েছে শিলিগুড়ির বিভিন্ন রাস্তায়। রবীন্দ্র সঙ্ঘ, স্বস্তিকা, সুব্রত সঙ্ঘ, অগ্রণী সঙ্ঘ সহ অন্যান্য পুজো মণ্ডপগুলিতেও ভিড় ছিল নজরকাড়া।
ভিড়ের নিরিখে এ দিনই জলপাইগুড়ির সমাজপাড়া সর্বজনীন ও শহর লাগোয়া পাতকাটার পুজো দু’টি টেক্কা দিয়েছে। তরুণ দল এবং জাগ্রত সঙ্ঘের পুজো মণ্ডপের নির্মাণ কাজ শেষ না হলেও, ভিড় দেখা গিয়েছে এখানেও। অনেক মণ্ডপে প্রতিমা না এলেও মণ্ডপে ঢুকে কারুকার্য দেখেছেন দর্শনার্থীরা। জলপাইগুড়ির একটি পুজোর কর্মকর্তা টোটন সেনগুপ্ত বলেন, “পঞ্চমীর দিন-ই বেশ ভাল ভিড় দেখা গিয়েছে। একেক সময়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে।”
ভিড়ের ছবি নজরে এসেছে মালবাজারেও। এ দিন মালবাজারের বেশিরভাগ মণ্ডপেই প্রতিমা পৌঁছে যায়। বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধনও হয়েছে। মালবাজারের দু’নম্বর ক্যালটেক্স পুজো কমিটির এবারের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ। এখানকার প্রতিমাই প্রধান আকর্ষণ বলে দাবি করেন উদ্যোক্তারা। মালবাজারের কলোনি সর্বজনীন পুজোরও উদ্বোধন হল এ দিন। মহিলা পরিচালিত আনন্দনিকেতন এবং রাধাগোবিন্দ মন্দির দুর্গাপুজো কমিটির উদ্যোক্তারাও এ দিন রাতেই দুর্গাপ্রতিমা নিয়ে শহর পরিক্রমা করে। ক্রান্তির একটি পুজো মণ্ডপেও এ দিন ছিল ভিড় ছিল নজরকাড়া।