বেহাল হলদিবাড়ি পুরসভার বাজারের ছাদ। রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।
পুর-বাজারের দশায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। কোথাও শেডের চাঙর খসে পড়েছে, কোথাও আবার বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে জল পড়ে। পুরসভাকে জানিয়ে কোনও ফল মেলেনি বলে অভিযোগ। দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু না হলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
১৯৯৯ সালে মুড়িপট্টিতে ১৫৩১ বর্গফুটের শেড তৈরি করা হয়। আর দুধের বাজারে শেডের আয়তন ২০৬২ বর্গফুট। দু’টি ঘরেরই বেহাল অবস্থা। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ছাদে আগাছার জঙ্গল হয়ে জল জমে থাকে। বর্ষায় সেই অংশ থেকে নীচে জল ঝরঝর করে জল পড়ে। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, ছাদ যে কোন সময়ে ভেঙে পড়তে পারে। পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ নাগ বলেছেন, “পুরসভার পরিষেবা ঠিকই আছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে নিশ্চয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যারা অভিযোগ তুলছে তারা বিরোধিতার জন্যই অভিযোগ তুলছে। সহযোগিতার হাত বাড়ালে সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিত্ সরকার বলেছেন, “পুরসভা ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে করের হার দশ গুণ বাড়িয়েছে। অন্য খাতেও কর আদায় করছে। অথচ পরিষেবা নেই। পুর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও লাভ হচ্ছে না। এ বার সব বাজার বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করা হবে।”
অভিযোগ, বাজারে ঢোকার রাস্তা খারাপ। বাজারের অধিকাংশ এলাকায় নিকাশি নালা নেই। যে জায়গা রয়েছে সেখানেও অপরিকল্পিত নির্মাণের জন্য জল জমেছে। বাজারে তিনটি শৌচাগার থাকলেও সাফাই হয় না। একটি জলের কল দিয়ে পুরো বাজারের প্রয়োজন মেটে না বলে অভিযোগ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দমকলের জল সংগ্রহের জায়গাও বাজার ও লাগোয়া এলাকায় নেই। ব্যবসায়ী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিবাড়িতে বাইরে থেকে কোন ট্রাক ঢুকলেও পুরসভা ২০ টাকা টোল নেয়। ব্যবসায়ীর থেকে বাত্সরিক কর ছাড়াও পাইকারি সব্জির হাট থেকে ফি আদায় হলেও ব্যবসায়ীরা পরিষেবা পাচ্ছেন না। ব্যবসায়ী সমিতি সম্পাদক বলেন, “চেয়ারম্যান যে রাজনীতির অভিযোগ করেছেন তা ঠিক নয়। বাজারে যে পরিষেবা নেই, তা কেউ এখানে এলেই বুঝতে পারবেন।”