বৈঠকই সার, কাজের কাজে ব্যর্থ প্রশাসন

পর পর বৈঠক হলেও এনসেফ্যালাইটিসের প্রতিরোধে সে ভাবে কাজ শুরু করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এ বছর দার্জিলিঙে এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে মারা গিয়েছেন ২৪ জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৪ ০২:০১
Share:

পর পর বৈঠক হলেও এনসেফ্যালাইটিসের প্রতিরোধে সে ভাবে কাজ শুরু করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এ বছর দার্জিলিঙে এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে মারা গিয়েছেন ২৪ জন। এই পরিস্থিতিতে বুধবারও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে জেলার স্বাস্থ্য দফতর, পশু পালন এবং প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের আধিকারিক, পুর কর্তৃপক্ষ, মহকুমাশাসক, বিডিওদের নিয়ে রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে ফের বৈঠক হয়। কিন্তু এনসেফ্যালাইটিস প্রতিরোধে সেভাবে কোথাও কাজ শুরু হয়নি। শিলিগুড়ির নার্সিংহোমগুলির কোথায় কত এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে রোগী রয়েছেন সেই তথ্য পর্যন্ত নেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের কাছে। এ দিন মহকুমা পরিষদে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় ডিওয়াইএফ। পরে তারা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপিও দেয়।

Advertisement

জুনের শেষ দিক থেকে উত্তরবঙ্গে এনসেফ্যালাইটিস সংক্রমণ বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসেই দার্জিলিং জেলা তথা শিলিগুড়ি মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তার পরেও রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন কেন এত দেরি করল সেই প্রশ্ন উঠেছে? তবে সে ব্যাপারে কোনও সদুত্তর মেলেনি।

জেলাশাসক পুনীত যাদব বলেন, “কী ভাবে এনসেফ্যালাইটিস নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ করা যাবে তা নিয়ে এ দিন বৈঠক করা হয়। মহকুমার কোথায় কত শুয়োর রয়েছে তা এ দিনই পশু পালন ও প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের লোকেরা সমীক্ষা করেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার থেকেই সেগুলি বসতি এলাকা থেকে সরানোর ব্যবস্থা হবে। তা সম্ভব না হলে বাসিন্দাদের থাকার জায়গা থেকে যাতে ১০০ মিটার দূরে রাখা হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মশা মারতে ধোঁয়া, স্প্রে করা, মাইকে প্রচার করে বাসিন্দাদের সচেতন করা, লিফলেট বিলির কাজ শুরু হচ্ছে।” এ জন্য উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

Advertisement

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিক জানান, নার্সিংহোমগুলিতে এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে কেউ ভর্তি থাকলে তাঁদের রক্তপরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠাতে বলা হয়েছে। সেই মতো তারা পাঠাচ্ছেনও। তিনি বলেন, “নার্সিংহোমগুলিতে কিছু রোগী রয়েছেন যাঁরা এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত। তবে সেই সংখা কত, এ পর্যন্ত বা কত জন মারা গিয়েছেন সেই তথ্য এখনই আমাদের কাছে নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন