আক্রান্ত বৃদ্ধ দম্পতি।
বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার উপর দিয়ে জলের পাইপ নিয়ে যাওয়ায় বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর ও গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে দুই যুব তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ওই দম্পতির পুলিশে অভিযোগ জানানোয় সোমবার রাতে কয়েক দফায় তাদের বাড়িতে ইট ও মদের বোতল ছোড়ে অভিযুক্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার ২নম্বর ওর্য়াডের মকদমপুর এলাকায়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত ওই বৃদ্ধ দম্পতির পরিবার।
মঙ্গলবার দুপুরে ফের তারা ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় মুল অভিযুক্তরা অধরা থাকলেও তাদের বাবাকে এদিন দুপুরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।, ধৃতের নাম কনকেশ্বর সরকার। তিনি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত কনকেশ্বর সরকারের পাশের বাড়িতেই থাকেন সুনীল কুন্ডু(৭৫) ও তাঁর স্ত্রী চন্দ্রসেনা দেবী। ৩৬ ইঞ্চি চওড়া একটি ছোট রাস্তা দিয়ে এই দুই পরিবারের লোকজন যাতায়াত করেন। সোমবার এই রাস্তার উপর দিয়ে তাদের দেওয়াল ঘেঁষে পুরসভার জলের পাইপ লাইন নিয়ে যান সুনীল বাবুরা। এতে আপত্তি জানান কনকেশ্বর বাবু ও তাঁর দুই ছেলে পলাশ ও পার্থ। এরই জেরে সোমবার বাড়িতে চড়াও হয়ে ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর করে তারা। ওই বৃদ্ধ দম্পতি ইংরেজবার থানায় তিন জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ রাতে পলাশ ও পার্থ বাইরে থেকে বহিরাগতদের নিয়ে গিয়ে ফের তাদের বাড়িতে চড়াও হয়। তাদের বাড়ির দরজায় লাথি মারে ও ইট ছোড়ে। মকদমপুরে একটি হার্ডওয়ারের দোকান রয়েছে সুনীল বাবুর । তিনি বলেন,“রাস্তার উপরে আমাদের সমান অধিকার রয়েছে। এছাড়া যে পাইপ লাইন রয়েছে তা খুব সরু। এতে কারও কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।”
বাড়ির ভিতরে পড়ে রয়েছে মদের বোতল।
তাঁদের মেয়ে সঙ্গমিত্রা সরকার বলেন, “অভিযুক্তরা আমাদের বুলেট নামে এক নেতার ভয় দেখাচ্ছে। এমনকি তারা আমাদেরকে বলছে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে। ফলে আমরা খুবই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,অভিযুক্ত দুই যুব তৃণমূল কর্মী পলাশ ও তার ভাই পার্থ সরকার বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা বিশ্বজিত্ রায় ওরফে বুলেটের অনুগামী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ডিসেম্বর মাসের প্রথমদিকে বিদ্যুত্ দফতরে ঢুকে দফতরের আধিকারিকদের কলার ধরে শাসানি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন,এখানে দলের কোনও বিষয় নেই। এটা দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদের ঘটনা।”মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,“একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
—নিজস্ব চিত্র।