মনোনয়ন জমা করার দিন দিনভর তৃণমূল এবং তাদের ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন জেলা নেতা দাপিয়ে বেরিয়েও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভোট নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন। জমা করা মনোনয়নের মধ্যে কতগুলি গ্রহণযোগ্য হল বুধবার তার তালিকা টাঙানো হয়। তাতে দেখা যায় মঙ্গলবার ১২৩ টি মনোনয়ন জমা হলেও তার মধ্যে ২১টি বাতিল হয়েছে। ১০২ টি মনোনয়ন গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭৯ টি আসনের মধ্যে ৯ টি আসনে কোনও মনোনয়ন জমা পড়েনি বা গ্রহণযোগ্য হয়নি। বাকি ৭০ টি আসনের মধ্যে ভোট হচ্ছে ৩২ টি আসনে। বাকি ৩৮ টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে প্রার্থীরা। ছাত্র পরিষদের দাবি তারা ২৫ টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। তৃণমূলের দাবি তারা ২৪ টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। তবে কে কতগুলি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন সঠিক তথ্য ভোটের দিন গণনার পরেই স্পষ্ট হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক কনককান্তি বাগচী বলেন, “১০২ টি আসন গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এ দিন তার তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বিজ্ঞানের শাখায় ২৬ টি এবং কলা-বাণিজ্য বিভাগে ৭৬ টি মনোনয়ন গ্রহণযোগ্য হয়েছে।” তা ছাড়া উত্তরবঙ্গলবিশ্ববিদ্যালয়ের জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসের ৮টি আসনের জন্য ৮ টি মনোনয়ন জমা হয়েছিল। সব কটি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রার্থীরাই তুলেছিলেন। এ দিন তার ১টি বাতিল হয়েছে। সেখানে ৭ টি আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে।
এ দিন তালিকা প্রকাশের পর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্ব। ৩২ টি আসনে ভোটে ক’টি তারা ধরে রাখতে পারবেন তা নিয়ে হিসেব নিকেষ শুরু হয়ে গিয়েছে। পড়ুয়াদের একাংশের আশঙ্কা হস্টেলে গিয়ে হুমকি দেওয়ার জেরে ছাত্রদের একাংশ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতি বিরূপ হয়েছে।
তা ছাড়া ছাত্র পরিষদ ২৫ টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার যে দাবি করেছে তা সঠিক হলে বিপাকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি নির্ণয় রায় এ দিন দাবি করেন, “আমরা জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস মিলিয়ে ৩১টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছি। বিরোধী পক্ষ কে কী বলছেন তা নিয়ে মথা ঘামাতে চাই না। ফলাফল বার হলেই সব স্পষ্ট হবে।” তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বের একাংশই বিষয়টি নিয়ে ধন্দে রয়েছেন। ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি রোনাল্ড দে দাবি করেছেন, অন্তত ২৩ টি আসনে আমরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছি। ছাত্ররা যে আমাদের পক্ষে রয়েছেন ভোটেই তার প্রমাণ মিলবে।” ইন্ডিপেন্ডেন্স স্টুডেন্ট কনসোলিডেশনের দাবি তাদের ৫ টি মনোনয়ন গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এসএফআই-এর দাবি তাদেরও ১০টির মতো মনোনয়ন গ্রহণযোগ্য হয়েছে।