ঘণ্টা তিনেকের বৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে গেল শিলিগুড়ির পুজোর বাজার। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বৃষ্টি শুরু হয়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকা। মহালয়ার পর থেকেই জমে উঠেছিল শিলিগুড়ির পুজোর বাজার। এ দিনও বিকেল থেকেই বাজারে ভিড় শুরু হয়, যদিও বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরেই বদলে যায় ছবিটা।
টানা বৃষ্টিতে দোকানগুলি যেমন ফাঁকা হয়ে যায়, তেমনই অনেক দোকানে জল ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগে পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের। বিধানমার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেট, হকার্স কর্নার, নিবেদিতা মার্কেট, গৌরীশঙ্কর মার্কেট, মহাবীরস্থান, গেট বাজার, জাজোদিয়া মার্কেট, চম্পাসারি বাজার, তিনবাত্তি মোড় বাজার, রবীন্দ্রনগর বাজার থেকে শপিং মলের বাজার এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। পুজোর আর তিন দিনও বাকি নেই। স্বভাবতই মাথায় হাত পড়ে ব্যবসায়ীদের।
শহরের বেশ কিছু বসতি এলাকাও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী সংগঠন ফোসিনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “পুজোর আগে এটাই শেষ সপ্তাহ বলে ভিড় প্রতিদিনই উপচে পড়ছে। অনেকেই পুজোর শেষ কেনাকাটা করতে বেড়িয়ে ছিলেন। অকাল বর্ষণই সমস্ত ভেস্তে দিয়েছে।”
এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ। অনেক ব্যবসায়ীই দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি প্রতাপ চন্দ্র দে অভিযোগ করেন, “বহু বছর ধরে এই বাজারে নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে রয়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই জল দাঁড়িয়ে যায়। নিকাশি ঠিক থাকলে এ দিন দোকান বন্ধ করতে হত না।”
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে নিম্নচাপের কারণেই শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় এ দিন বিকেলের পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। রাতের দিকে জলপাইগুড়িতেও বৃষ্টি শুরু হয়। একটানা বৃষ্টিতে জলপাইগুড়িতেও পুজোর বাজার পণ্ড হয়ে যায়। শহরের নতুনপাড়া, পাণ্ডাপাড়া থেকে শুরু করে ডিবিসি রোড এমনকী কদমতলা এলাকাও সাময়িকভাবে জলমগ্ন হয়ে পড়ে।
বৃষ্টি চলতে থাকলে পরের দু’দিন বাজারের কী হবে তা নিয়েই আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা। পুজোর আগে শেষ শনি ও রবিবার ভিড় বেশি বলে ব্যবসায়ীদের আশা। বৃষ্টি সেই আশায় জল ঢালবে কিনা তা ভেবেই শঙ্কিত ব্যবসায়ীরা।