আড্ডা মারার ফাঁকেই পুজোর আয়োজন। তাও আবার অভিনব থিমে। বন ও বন্যপ্রাণ বাঁচানোর থিমকে সামনে রেখে এবার কালীপুজোর আয়োজন হচ্ছে মালবাজারে। শহরের কলোনি যুবকবৃন্দের প্রথম বর্ষের এই পুজোয় এই থিমকেই সামনে রেখে বাজিমাত করতে চাইছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, মালবাজার পুরসভা এলাকার ঠিক মাঝখানে কলোনি ময়দানে সন্ধ্যা হলেই নানা বয়সের কিশোর যুবকদের আড্ডা বসে। সন্ধ্যা থেকে কলোনি মাঠের দখল চলে যায় শতাধিক যুবকের হাতে। পনেরোটি পৃথক দলে ভাগ হয়ে গিয়ে মাঠেই গোল করে আড্ডা জমাতে দেখা যায় তাঁদের। তবে তিন মাস আগে থেকে সব ক’টি দলই এক সঙ্গে কালী পুজো করার চিন্তাভাবনা করতে শুরু করেছে। প্রথম বারের পুজোতেই যাতে তাঁদের নতুন কিছু করার ভাবনা ডুয়ার্সবাসীর কাছে পৌঁছিয়ে যায়, তার জন্যই এই থিম বলে জানান পুজোর কর্মকর্তারা।
সবুজ ঘাস দিয়ে মণ্ডপ সাজানোর পাশাপাশি নকল গাছও তৈরি করা হচ্ছে। মালবাজার পুর এলাকার ঠিক মাঝখানে কলোনি ময়দানে ৮০ ফুট চওড়া এবং ৫৫ ফুট উচ্চতার এই মণ্ডপকে ঘিরে ইতিমধ্যেই তাই উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। শহরে মালবাজারের মডেল ডেকরেটারের মাধ্যমে এই অভিনব মণ্ডপ কীভাবে তৈরি হবে, তা জানতেও কৌতুহল রয়েছে মালবাজারে। কলোনি ময়দান পুজো কমিটির সম্পাদক রাজীব সরকার জানালেন, পাটের বস্তার উপর মাটির প্রলেপ দিয়ে তার উপর দূর্বা ঘাস লাগানোর কাজ চলছে। সেই ঘাস দিয়ে মণ্ডপ সজ্জা হবে। এছাড়া প্লাইবোর্ড দিয়ে গাছ তৈরি হবে। মণ্ডপকে জড়িয়ে রাখবে সেই গাছ। মণ্ডপ জুড়ে বন্যপ্রাণ রক্ষার ছবিও তুলে ধরা হবে। কালী প্রতিমাতেও থাকছে অভিনবত্ব। সৃষ্টির আদি রূপে আদ্যাশক্তি হিসাবে কালীপ্রতিমাকে তুলে ধরা হবে বলে জানালেন পুজোর কমিটির আর এক কর্মকর্তা অর্কপ্রভ ঘোষ এবং সৌরভ ঘোষ। শিলিগুড়ির কুমোরটুলিতে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। পুজো উপলক্ষে স্মরণিকাও প্রকাশ করা হবে বলে জানান তাঁরা।