বর্ণালী। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।
মাধ্যমিকে ৬৭৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে ষষ্ঠ স্থান দখল করল মালদহের বার্লো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী বর্ণালী সরকার। বর্নালীর বাবা সাগর সরকার ইংরেজবাজার থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত। দুই বোনের মধ্যে বর্ণালী বড়। ছোট বোন নবম শ্রেণিতে পড়ে। মেয়ের এই সাফল্যে খুশী গোটা পরিবার। জেলা পুলিশ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বর্ণালীকে। মালদহ শহরেরে বিএস রোড়ের চুড়িপট্টিতে ভাড়া বাড়িতে থাকে ওই পরিবার। বর্ণালী বলেন, “এত ভাল ফল হবে আসা করিনি। বিজ্ঞান নিয়ে পড়ব। ভবিষ্যতে চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়র নয় পড়াশুনো করে আইএএস অফিসার হতে চাই।”
বর্ণালী বাংলায়-৯৩, ইংরেজিতে-৯৩, অঙ্কে-১০০, ভৌত বিজ্ঞান-৯৮, জীব বিজ্ঞানে-৯৯, ইতিহাস-৯৬ এবং ভুগোলে-৯৮ পেয়েছে। বর্ণালী স্কুলের শিক্ষিকাদের পাশাপাশি তিন জনের কাছে প্রাইভেট টিউশন পড়েছে। সে বলে, “স্কুলের শিক্ষিকারা সাহায্য না করলে এই রেজাল্ট করতে পারতাম না।”
অন্য দিকে, জেলায় মাধ্যমিকে নিজেদের ঐতিহ্য বজায় রাখল মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির। এ বছর মাধ্যমিকে স্কুল থেকে ১১৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। ১১১ জন ছাত্র স্টার নম্বরের বেশি পেয়েছে। ৬৭২ নম্বর পেয়ে স্কুলের মীর তৌসিফ ইসলাম রাজ্যে একাদশ স্থান দখল করেছে। সাত্যকি মণ্ডল ও সুদীপ্ত সরকার ৬৭১ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দ্বাদশ স্থান পেয়েছে। ৮৫ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ৯৫ জন ছাত্র। ৮০ শতাংশের উপরে পেয়েছে ১০৯ জন ছাত্র। অঙ্ক, ভৌতবিজ্ঞান, ইতিহাস-সহ সমস্ত বিষয়ে ছাত্ররা ভাল নম্বর পেলেও বাংলার নম্বর নিয়ে খুশি নন স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবকদের একাংশ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপহরানন্দ বলেন, “সিলেবাস শেষ করে পরপর পাঁচবার পরীক্ষা নেওয়ার ফলেই ছেলেরা ভাল ফল করেছে। বিশেষ পরীক্ষা নিয়ে স্কুলের বাইরে ৪০ জন শিক্ষককে খাতা দেখানো হয়েছিল। যারা যে বিষয়ে দুর্বল ছিল তাদের বিশেষ কোচিং করানো হয়েছে। লাগাতার এই প্রক্রিয়াই ছাত্রদের সাফল্যের চাবিকাঠি।”