বড় উড়ানে বন্ধ পরিষেবা চালুর উদ্যোগ

বেশি আসনের উড়ান চালিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া পরিষেবা ফের চালু করতে উদ্যোগী কোচবিহার জেলা প্রশাসন। রানওয়ের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ফের উড়ান চালু করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সোমবার জেলা প্রশাসনের কর্তারা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই) -র কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। পরে তাঁরা বিমানবন্দর এলাকা ঘুরেও দেখেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৪ ০৪:৪২
Share:

বেশি আসনের উড়ান চালিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া পরিষেবা ফের চালু করতে উদ্যোগী কোচবিহার জেলা প্রশাসন। রানওয়ের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ফের উড়ান চালু করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সোমবার জেলা প্রশাসনের কর্তারা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই) -র কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। পরে তাঁরা বিমানবন্দর এলাকা ঘুরেও দেখেন।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে উড়ান চালু হয়। গুয়াহাটি-কোচবিহার-কলকাতা রুটে মোট ১৮ আসনের ওই বিমানে পরিষেবা অবশ্য চালুর এক মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। প্রশাসনের কর্তাদের ধারণা, যাত্রীদের জন্য কম আসন থাকায় কোচবিহার থেকে কলকাতা যাতায়াতে মাথাপিছু প্রায় ৫ হাজার টাকা ভাড়া দাঁড়ায়। এতে যাত্রী সংখ্যা কমতে থাকে। তার পরে পরিষেবা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। কয়েক মাসের মধ্যে তা বন্ধ হয়ে যায়।

কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “অপেক্ষাকৃত বেশি সংখ্যক আসনের উড়ান চালুর জন্য বিমানবন্দর লাগোয়া চত্বরে গাছ, বাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি, পানীয় জলের ট্যাঙ্ক মিলিয়ে মোট ৬৮টি ক্ষেত্রের উচ্চতা কমানোর ব্যাপারে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। দ্রত বিমানবন্দরের রানওয়ে বাড়াতে কাজ শুরু করা হচ্ছে।”

Advertisement

কোচবিহার বিমানবন্দরে রানওয়ে রয়েছে ১০৬৯ মিটার। এ পরিকাঠামোয় সর্বাধিক ১৮ আসনের বেশি সংখ্যক আসন বিশিষ্ট বিমান ওঠানামা করা সম্ভব নয়। প্রকল্প অনুয়ায়ী রানওয়ের দৈর্ঘ্য আরও ৪৬০ ফুট বাড়ানো হবে। এর জন্য প্রথম দফায় ১৫ কোটি এবং পরে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। কাজ শেষ হলে কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে এটিআর ৭২ বিমান চলাচল করতে পারবে।

আলোচনায় দ্রুত বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর কাজ সম্পূর্ণ করার কথা হয়েছে। বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় উঁচু গাছ, জলের ট্যাঙ্ক, বাড়ির উচ্চতাজনিত সমস্যার কথাও বৈঠকে উঠে আসে। পরে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলে পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, বিমান বন্দরের পিছনের অংশে মরাতোর্সার ওপর বক্স কালভার্ট তৈরি করে রানওয়ে বাড়াতে রাজ্য সরকার ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তাঁর কথায়, “জমির বন্দোবস্ত হয়েছে। তাও এএআইয়ের কাজ শুরু করতে না পারাটা দুর্ভাগ্যজনক। কাজ সম্পূর্ণ হলে ৭০ আসনের উড়ান চালু হবে।” এএআইয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মলয় দে বলেন, “রানওয়ে সংলগ্ন প্রতিবন্ধকতা ঠিক করা না গেলে উড়ানের সমস্যা মিটবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন