বন্ধ মধু চা বাগান নিয়ে শ্রম দফতরের ডাকা বৈঠক ভেস্তে গেল। সোমবার শিলিগুড়িতে যুগ্ম শ্রম কমিশনারের দফতরে বন্ধ মধু চা বাগান নিয়ে বৈঠকে হয়। পুজোর আগে বন্ধ মধু বাগান খোলা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। শ্রমিক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, বাগানে ১২ শতাংশ বোনাস দেওয়ার কথা ছিল। মালিক পক্ষ ২০ সেপ্টেম্বর জানায়, তারা ৬ শতাংশ করে দুই দফায় পুজোর আগে ও ডিসেম্বর মাসে বোনাস দেবে। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলেন শ্রমিকরা ২৩ সেপটেম্বর মধু চাবাগান থেকে দশ কিলোমিটার দূরে কালচিনি রেলগেট এলাকায় সকাল থেকে টানা ছয়ঘন্টা মালিকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। ঘটনার জেরে ওইদিন সন্ধ্যায় বাগানে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিশ ধরায় কর্তৃপক্ষ। ম্যানেজাররা বাগান ছেড়ে চলে যান।
গত বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে সহকারি শ্রম আধিকারিক ও শুক্রবার জেলা শ্রম আধিকারিকের দফতরে বৈঠকও ডাকা হয়। প্রথমটিতে মালিক পক্ষ যাননি এবং দ্বিতীয় বৈঠকে শ্রমিকার যাননি। উত্তরবঙ্গের যুগ্ম শ্রম কমিশনার মহম্মদ রিজওয়ান বলেন, “এদিন আমরা মালিক পক্ষকে পুজোর আগে সাড়ে আট শতাংশ বোনাস দিতে বলেছিলাম। ডিসেম্বর মাসে বাকি সাড়ে তিন শতাংশ বোনাস দিতে। বিষয়টি শ্রমিক সংগঠন ও মালিক পক্ষ মানলেও কিছু শ্রমিক আপত্তি তোলায় বৈঠক ভেস্তে যায়। পরবর্তীতে ফের বৈঠক ডাকা হবে।” চা বাগানের মালিকদের সংগঠন আইটিপিএর উপদেষ্টা অমিতাংশ চক্রবর্তী জানান, পুজোর আগে সাড়ে আট শতাংশ বোনাস দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিছু শ্রমিক আপত্তি তোলায় তা সম্ভব হয়নি।