মোটরবাইকে আগুন দিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা

মাত্র পনেরো মিনিটের ব্যবধানে শিলিগুড়ির পাশাপাশি দু’টি এলাকায় দুটি মোটরবাইক আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। বুধবার রাত নটা নাগাদ প্রথমে শিলিগুড়ি থানার শান্তিমোড়ে ঘটনাটি ঘটে। পরের ঘটনাটি ঘটেছে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরে ভক্তিনগর থানার বঙ্কিম চন্দ্র রোডে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এলাকার ১৫ নম্বর এবং ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের এই দু’টি ঘটনার জেরে শহর জুড়েই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও কারা কী উদ্দেশ্যে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তা রাত অবধি পরিষ্কার নয় পুলিশের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৪ ০২:০৩
Share:

মাত্র পনেরো মিনিটের ব্যবধানে শিলিগুড়ির পাশাপাশি দু’টি এলাকায় দুটি মোটরবাইক আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। বুধবার রাত নটা নাগাদ প্রথমে শিলিগুড়ি থানার শান্তিমোড়ে ঘটনাটি ঘটে। পরের ঘটনাটি ঘটেছে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরে ভক্তিনগর থানার বঙ্কিম চন্দ্র রোডে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এলাকার ১৫ নম্বর এবং ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের এই দু’টি ঘটনার জেরে শহর জুড়েই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও কারা কী উদ্দেশ্যে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তা রাত অবধি পরিষ্কার নয় পুলিশের কাছে।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, একটি স্কুটি এবং একটি বাইকে করে দুই দুষ্কৃতী ওই আগুন ধরিয়ে পালিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। একজনের মাথায় হেলমেট থাকলেও অন্যজনের তা ছিল না। ঘটনায় দুটি মোটরবাইকই সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তেই লোকজন বাড়ি থেকে বার হয়ে আসেন। কিছু দোকানও বন্ধ হয়ে যায়। এডিসিপি এস রাজকুমারের নেতৃত্বে পুলিশ অফিসারেরা গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কী দিয়ে আগুন লাগানা হল তা জানতে, পুড়ে যাওয়া মোটরবাইক দুটি হেফাজতে রেখে পরীক্ষা করানো হচ্ছে।”

পুলিশ জানায়, রাত সওয়া ন’টার কিছুক্ষণ আগে মুরগি খামারের ব্যবসায়ী বাসিন্দা তথা শান্তিমোড়ের বাসিন্দা অধীর কুমার দত্ত গুয়াহাটি থেকে ব্যবসার কাজ সেরে শিলিগুড়ি ফেরেন। তাঁর মোটরবাইকটি বাড়িতে ঢোকার সরু গলিতে রাখা ছিল। অধীরবাবু জানান, অসম থেকে রাতে ফিরে স্নান করে বসেছিলাম। ছেলে কৃষ্ণেন্দু পোড়া গন্ধ পায়। ঘরের বাইরে গিয়ে দেখিয়ে বাইক আগুনে জ্বলছে। চিৎকার করে এগিয়ে যেতেই একজন লোককে দেখি সামনে রাস্তায় রাখা স্কুটি জাতীয় কিছু নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। ওই দুষ্কৃতীর পরণে হলুদ রঙের জামা ছিল। কালো হেলমেটে মুখে ঢাকা ছিল। কী হল কিছুই বুঝতে পারছি না।

Advertisement

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পরের ঘটনাটিই ঘটে লাগোয়া বঙ্কিমচন্দ্র রোডে। এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন কাউন্সিলর অরবিন্দ ঘোষের উল্টোদিকের বাড়ি কম্পিউটার ব্যবসায়ী সোমশঙ্কর চক্রবর্তীর। তিনি বাড়ির সামনে বাইক রেখে ভিতরে ছিলেন। সোমশঙ্করবাবু বলেন, “চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বাড়ির বাইরে আসতেই দেখি, মোটরবাইকে আগুন জ্বলছে। একটি ছেলে পালিয়ে গেল।” তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরবিন্দবাবু জানান, ঘটনার সময় বাড়িতে লোকজন ছিল। আমাদের দলের কর্মী সঞ্জয় পালও আমার বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিল। ও হঠাৎ দেখে লম্বা চুলওয়ালা সাদা জামা পরা একটি ছেলে বাইকে এসে বাড়ির সামনে দাঁড়ায়। তার পরে ওই বাইকটিকে লক্ষ্য করে কিছু ছুড়ে মারে। সঙ্গে সঙ্গে বাইকটিতে আগুন ধরে যায়। সঞ্জয় চিৎকার করতেই হেলমেট ছাড়া ওই যুবক সংহতি মোড়ের দিকে পালায়। তার পরেই শুনি শান্তিমোড়েও একই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পেয়েই এলাকায় যান জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তথা পাশের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজয় ঘটকও। তিনি বলেন, “মারাত্মক ঘটনা। পুলিশকে অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের ধরে ঠিক কী হয়েছে বার করতে হবে। নইলে শহরে আতঙ্ক ছড়াতে থাকবে।”

পুড়ে যাওয়া দু’টি মোটরবাইকের ছবি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন