মালদহে তৃণমূলের কোন্দল অব্যাহত

জেলা সভাপতি হওয়ার ১১দিন পর মালদহে পৌঁছে জেলার দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, সাবিত্রী মিত্র ও তাঁদের অনুগামীদের কাউকেই পাশে পেলেন না মালদহের নবনিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ছাড়াও ব্লকের একজন সভাপতিকেও এদিন মালদহ টাউন স্টেশনে দেখা যায়নি। সোমবার দুপুর ২টা নাগাদ কলকাতা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালদহ টাউন স্টেশনে নামলে দলের নবনিযুক্ত সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৪ ০১:৩২
Share:

জেলা সভাপতি হওয়ার ১১দিন পর মালদহে পৌঁছে জেলার দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, সাবিত্রী মিত্র ও তাঁদের অনুগামীদের কাউকেই পাশে পেলেন না মালদহের নবনিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ছাড়াও ব্লকের একজন সভাপতিকেও এদিন মালদহ টাউন স্টেশনে দেখা যায়নি। সোমবার দুপুর ২টা নাগাদ কলকাতা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালদহ টাউন স্টেশনে নামলে দলের নবনিযুক্ত সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।

Advertisement

নবনিযুক্ত সভাপতিকে স্বাগত জানাতে কেবলমাত্র শতিনেক শ্রমিক নিয়ে হাজির ছিলেন আইএটিটিইউসির জেলা সভাপতি মানব বন্দোপাধ্যায়। জেলার দুই মন্ত্রী ও তাঁদের অনুগামীরা গরহাজির থাকলেও জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতিকে নিজের কানিরমোড় অফিসে নিয়ে যান মালদহে তৃণমূলের তৃতীয় শিবিরের নেতা বলে পরিটচিত জেলার কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি সরকার।

নতুন জেলা সভাপতি অবশ্য বলেন, “আমি সবাইকে নিয়ে চলব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে মালদহ জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি করেছেন। আমি সাবিত্রী মিত্র ও কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করব। সবার সঙ্গে আলোচনা করে জেলার সংগঠনকে মজবুত করতে চাই।” নতুন জেলা সভাপতি পাশে বসে সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “আগে যা হয়নি। আগামী দিনে তা হবে। নতুন করে দলকে সাজানো হবে।” দুইমন্ত্রী ও দলের ছাত্র, যুব সংগঠনের সভাপতি ও ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহের তৃণমূল কংগ্রেসের একজনও কাউন্সিলর দলের নতুন সভাপতিকে স্বাগত জানাতে স্টেশনে হাজির না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আইএটিটিইউসির জেলা সভাপতি মানব বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আজকে যা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক।” এদিন মালদহে পৌঁছেই দমে থাকেননি নতুন জেলা সভাপতি। দুই মন্ত্রীকেই তিনি ফোন করেন। এরপর তিনি প্রথমে সদরঘাটে মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের বাড়িতে যান। বাড়িতে সাবিত্রী মিত্র ছিলেন না। মন্ত্রীর স্বামীর সঙ্গে কথা বলে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কালীতলায় মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর অফিসে যান। সেখানে তিনি কৃষ্ণেন্দুবাবুর অনুগামীদের সঙ্গে কথা বলেন। কৃষ্ণেন্দুবাবু বর্তমানে দিল্লিতে। তিনি বলেন, “আমি কাজে দিল্লি এসেছি। দলের নতুন সভাপতি ফোন করেছিলেন। উনি জেলার গ্রামে গ্রামে ঘুরে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন, কর্মীদের চিনুন। তারপরে জেলার সাংগঠনিক রুপরেখা তৈরি করুন। আমরা সভাপতিকে সবরকম সাহায্য করব।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন