মমতা আসার মুখে হকার্স মার্কেট নিয়ে কাজিয়া শুরু

হকারদের জন্য মার্কেট গড়তে দার্জিলিঙে চৌরাস্তার কাছে একটি প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু ৭ মাস পরেও সেই কাজ থমকে রয়েছে। তৃণমূলের নেতৃত্বের অভিযোগ, মোর্চা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ওই প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে। তারা হকারদের বঞ্চিত করতে চাইছেন। হকাররা স্থায়ী মার্কেটে দোকান ঘরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৪ ০২:১৬
Share:

হকারদের জন্য মার্কেট গড়তে দার্জিলিঙে চৌরাস্তার কাছে একটি প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু ৭ মাস পরেও সেই কাজ থমকে রয়েছে। তৃণমূলের নেতৃত্বের অভিযোগ, মোর্চা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ওই প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে। তারা হকারদের বঞ্চিত করতে চাইছেন। হকাররা স্থায়ী মার্কেটে দোকান ঘরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন। সেই মতো প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। ওই কাজে দেরি হওয়ার জন্য তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত আস্থা হকার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সম্প্রতি জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

জামুনিতে মোর্চার প্রকল্প জেলা প্রশাসন বন্ধ করে দেওয়ায় হকারদের জন্য ওই বাজার গড়তে বাধা দিয়ে তারা বদলা নিতে চাইছে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, গত ২৩ জানুয়ারি ওই প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে গোর্খাল্যান্ড টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। সে সময় তাঁরা ওই জায়গায় হকার্স মার্কেট গড়ার বিষয়ে কোনও আপত্তি জানাননি। অথচ এখন বিভিন্ন সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে ওই কাজে বাধা দিতে চাইছেন। মোর্চা নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মোর্চার সহকারী সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাঙ্গ বলেন, “তৃণমূল নেতৃত্ব জামুনির প্রকল্পের প্রসঙ্গ তুলে যে অভিযোগ তুলছেন তা ভিত্তিহীন। জিটিএ-র প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীর ওই শিলান্যাস অনুষ্ঠানে ছিলেন এ কথা ঠিক। আমরা ভেবেছিলাম শিলান্যাসের পর প্রকল্প গড়তে অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিনয়বাবুর দাবি, জামুনিতে ওই প্রকল্প গড়ার বিষয়টি জিটিএ-র প্রধান সচিব অনুমোদন করেছিলেন এবং সই করেছিলেন। তিনি রাজ্যেরই প্রতিনিধি। তা ছাড়া চৌরাস্তায় হকার্স মার্কেট গড়ার বিষয়ে মোর্চা কোনও রাজনীতি করছে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এবং কিছু সংগঠন এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। উল্লেখ্য, এলাকার পরিবেশ এবং ভারসাম্য নষ্ট হবে অভিযোগ তুলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এবং কয়েকটি সংগঠন ওই মার্কেট গড়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। জেলাশাসক পুনীত যাদব জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত ওই হকার্স মার্কেট গড়তে দার্জিলিং পুর কর্তৃপক্ষের কাছে ভবনের নকশা জমা দেওয়া হয়েছে। তা অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান অমর রাই বলেন, “নকশা জমা হওয়ার পরে নিকাশি ব্যবস্থা-সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় যথাযথ রয়েছে কি না, বাস্তুকাররা তা খতিয়ে দেখেন। বোর্ড অব কাউন্সিলরদের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েই অনুমোদনের বিষয়টি ঠিক হয়।”

Advertisement

বুধবার দার্জিলিং আসছেন মমতা

নিজস্ব সংবাদদাতা • দার্জিলিং

আগামী ১৬ জুলাই দার্জিলিং যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের পরে এই প্রথম দার্জিলিং শহরে যাচ্ছেন তিনি। ১৬ জুলাই চৌরাস্তায় তামাঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। ১৭ জুলাই বালাসন জল প্রকল্প উদ্বোধনেরও কথা রয়েছে তাঁর। ১৮ জুলাই শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে একটি সাফারি পার্কের শিলান্যাস করার কথা। দার্জিলিংয়ের জেলা শাসক পুনীত যাদব বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে টেলিফোনে আমাদের জানানো হয়েছে, উনি ১৬ জুলাই দার্জিলিং আসবেন। কিন্তু তাঁর সফরের কোনও সূচি আমাদের জানানো হয়নি।” যদিও মুখ্যমন্ত্রীর আসার খবর নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন পাহাড় তৃণমূলের মুখপাত্র বিন্নি শর্মা। তিনি বলেন, “১৬ জুলাই তাঁর আসার কথা, এবং ১৮ জুলাই তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা।” এর আগে মুখ্যমন্ত্রী শেষবার ১৩ এপ্রিল দার্জিলিংয়ে এসেছিলেন লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মিরিক থেকে তামাঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি সফরে তারই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা। তামাঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় মোক্তান বলেন, “আমাদের ১৬ জুলাই অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি থাকতে নির্দেশ এসেছে। আমরা ৬ হাজার সদস্য নিয়ে হাজির থাকার পরিকল্পনা করেছি।” এদিনই বোর্ডের কার্যকরী সমিতির সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হবে। মোর্চার সহকারী সচিব বিনয় তামাঙ্গ বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। তাই এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন