গরুবাথানের এই মাঠেই আজ কর্মিসভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মিসভায় যাতে চা শ্রমিকরা উপস্থিত থাকতে পারেন, তার জন্য শ্রমিকদের আগে ছুটি দিতে তরাইয়ের ৪২টি চা বাগান কর্তৃপক্ষকে লিখিত আবেদন জানানো হল। সোমবারই তৃণমূলের চা বাগান শ্রমিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। তৃণমূল টি প্লান্টেশন ওয়ার্র্কার্স ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অলক চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সভায় চা শ্রমিকেরা যাতে যেতে পারেন, সে কারণেই বাগান কর্তৃপক্ষগুলির কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে। সমস্ত বাগান থেকেই সম্মতি মিলেছে।” আজ, মঙ্গলবার নকশালবাড়িতে বিকাল সাড়ে তিনটেয় সভা করতে আসার কথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সভার নির্ধারিত সময়ের দু’ঘণ্টা আগে দুপুর দেড়টাতে যাতে চা শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ তৃণমূলের তরফে করা হয়েছে। চা বাগান মালিকদের সংগঠন তরাই ইন্ডিয়ান প্ল্যান্টেশন অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ওই দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। সংগঠনের সম্পাদক উদয়ভানু দাস বলেন, “আবেদন পেয়েছি। বাগানের চা তোলার কাজে বিঘ্ন না ঘটিয়ে কেউ কোথাও যেতে চাইলে আপত্তি নেই।”
বাগান মালিক সংগঠন সূত্রের খবর, প্রতিদিনের নির্ধারিত সময়ের আগে থেকে কাজ শুরু করে দুপুরের মধ্যে শেষ করার জন্য শ্রমিকদের অনুরোধ করেছেন বাগান কর্তৃপক্ষ। সিআইটিইউ এর চা শ্রমিক শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত গৌতম ঘোষ বলেন, “আমরা কখনও এইভাবে অনুরোধ করিনি। ইউনিয়ন থাকলে তার সদস্যরা যেতে পারে। তবে চিঠি পাঠিয়ে দলের সভার জন্য ছুটি চাওয়া অনৈতিক।”