ট্রেন ধরতে গিয়ে এনজেপি স্টেশন চত্বরে মদ্যপদের হাতে দুই যুবক প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বলে তাঁরা নিউ জলপাইগুড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগকারী দুই জন দীপঙ্কর পাল ও জিয়াউল রহমান। রাতে গরিব রথ এক্সপ্রেসে কলকাতা যাওয়ার কথা ছিল জিয়াউলের। তাঁকে রাত আড়াইটে নাগাদ ট্রেনে ওঠাতে যান বন্ধু দীপঙ্কর। হোটেলের সামনে বাইক রেখে খাবার কিনতে তাঁরা ভিতরে যান। অভিযোগ, আচমকা নজরে পড়ে জনা ছয়েক যুবক তাঁদের বাইকের উপরে মদ্যপ অবস্থায় বোতল ভাঙছে। বাধা দিলে মদ্যপরা তাঁদের ঘিরে ধরে। বাইকের ক্ষতি হবে আশঙ্কায় সেটি সরাতে যায় দীপঙ্কর। সেই সময় তাঁকে গলায় নাইলনের দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে মদ্যপদের একজন। বাকিরা লাথি, ঘুঁষি মারতে থাকে। বাঁচাতে গিয়ে মার খান জিয়াউলও। তাঁকেও মাটিতে ফেলে এলোপাথারি, মুখে বোতল দিয়ে মারা হয়। কোনও রকমে ছাড়িয়ে নিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়িতে গিয়ে অভিযোগ করেন তাঁরা। ঘটনার জেরে জিয়াউলের কলকাতায় যাওয়া বাতিল করতে হয়।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব শহরের বাইরে রয়েছেন। তিনি বলেন, “কী ঘটেছে জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।” পুলিশের এডিসি কে সাভারি রাজকুমার বলেন, “অভিযুক্তদের দু’টি স্কুটার আটক করা হয়। তাদের খোঁজা হচ্ছে। রাতে টহলদারি বাড়ানোর কথা চিন্তা করা হচ্ছে।”
নিউ জলপাইগুড়ির স্টেশন চত্বরের হোটেলগুলির একাংশে মদ বিক্রি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জন্যই স্টেশন চত্বরের হোটেলগুলির একাংশে বেআইনি মদের কারবার বেড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। অশোকবাবু বলেন, “রাজ্য জুড়েই আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। পুলিশকে আরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।” স্টেশনে যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও দাবি তোলেন তিনি। দলের তরফে পুলিশে জানানো হবে বলে জানান অশোকবাবু।
ব্যবসায়ীরা জানান, এ দিন স্টেশন চত্বরে একটি হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করে অভিযুক্তরা। বেআইনি মদ বিক্রির প্রশ্নে হোটেল মালিক দাবি করেন, শুধু এই হোটেল নয়, প্রায় সমস্ত হোটেলেই লাইসেন্স ছাড়া মদ বিক্রি হয়। পুলিশের একাংশের মদত এতে রয়েছে বলেও অভিযোগ। স্টেশন চত্বরের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রিঙ্কু সাহা বলেন, “পুলিশের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলব।”