কার্শিয়াঙে গাড়ি বন্ধের দিনে রাস্তায় প্রহরা। শুক্রবার রবিন রাইয়ের তোলা ছবি।
কার্শিয়াং শহরে যানজট কমাতে যথেচ্ছ পার্কিং বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় আন্দোলন নামলেন গাড়ির চালকরা। প্রশাসন সূত্রের খবর, শুক্রবার থেকে শহরের রাস্তায় যথেচ্ছ গাড়ি দাঁড় করানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কার্শিয়াং মহকুমা প্রশাসন। ওই নির্দেশের প্রতিবাদেই অনির্দিষ্টকালের বেসরকারি ছোট গাড়ি বন্ধ-এর ডাক দিয়েছে কার্শিয়াং চালক মহাসঙ্ঘ। গাড়ি চালকদের বক্তব্য, কোনও আগাম খবর না দিয়ে এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। যদিও মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অভিযোগ ঠিক নয়।
এ দিকে গাড়ি চলাচল হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন কার্শিয়াঙের মানুষ। দার্জিলিং-শিলিগুড়ি রুটের গাড়ি ধরে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। প্রয়োজনের তুলনায় গাড়ি কম থাকায় অনেকই এ দিন শহরের বাইরে যেতে পারেননি। কার্শিয়াঙের মহকুমাশাসক, ইউ স্বরূপ বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসেই চালকদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়েছিল। তাতে যানজট কমাতে রাস্তায় পার্কিং করার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে চালকদের জানানো হয়েছিল। তখন সকলেই রাজি হয়েছিলেন। এখন তাঁরা কেন বন্ধ করলেন বুঝতে পারছি না।” তবে চালকেরা আলোচনা করতে চাইলে তা সব সময় স্বাগত বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চালক মহাসঙ্ঘের সভাপতি তিলক গুরুঙ্গ বৈঠকের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, “বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু কবে থেকে সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে তা জানাননি মহকুমা শাসক। হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে চালকরা সমস্যায় পড়েছেন।”
মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহরের একটু বাইরে মন্টেভিট ময়দানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে ১৯টি ট্যাক্সি সিণ্ডিকেটের একটি করে গাড়ি দাঁড় করাতে দেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। আগের গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই অন্য গাড়িকে জায়গা দেওয়া হবে। তাতে যানজট নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যা মানতে নারাজ গাড়ি চালকেরা। তিলক বলেন, “রাস্তায় পার্কিং করতে অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত আমরা ট্যাক্সি ধর্মঘট চালিয়ে যাব।”
শনিবার মহকুমাশাসকের সঙ্গে চালকরা দেখা করবেন বলে চালক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কার্শিয়াং বাইপাসে একটি নতুন পার্কিংয়ের জায়গা তৈরি হচ্ছে। তা না হওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন বলে জানা গিয়েছে। চালকদের দাবি, ততদিন আগের ব্যবস্থাই চলুক। রাস্তার উপরেই পার্কিং করতে দেওয়া হোক। অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবাকে অবশ্য বন্ধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।