রথযাত্রার বাজেট বাড়ল

রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন দেবের রথযাত্রা উৎসবের বাজেট বাড়াল কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। রথ সাজানো থেকে মন্দির সংস্কারের প্রস্তুতিও চলছে জোর কদমে। এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে উৎসবের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। দেবোত্তর ট্রাস্ট সূত্রেই জানা গিয়েছে, গতবার রথযাত্রার বাজেট ছিল ২ লক্ষ ৩ হাজার টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৫ ০২:৪৪
Share:

রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন দেবের রথযাত্রা উৎসবের বাজেট বাড়াল কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। রথ সাজানো থেকে মন্দির সংস্কারের প্রস্তুতিও চলছে জোর কদমে। এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে উৎসবের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

Advertisement

দেবোত্তর ট্রাস্ট সূত্রেই জানা গিয়েছে, গতবার রথযাত্রার বাজেট ছিল ২ লক্ষ ৩ হাজার টাকা। এ বার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আয়োজনে জৌলুস বাড়ানোর কথা মাথায় রেখে রথযাত্রা উৎসবের বাজেট ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা। ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি তথা কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক বিকাশ সাহা বলেন, “ উৎসবের আয়োজনে খামতি রাখতে চাইছি না। ইতিমধ্যেই এ বারের বাজেট বাড়ানো হয়েছে। যাবতীয় প্রস্তুতির তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে।” ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রেই জানা গিয়েছে, এ বার তিথির ফেরে কিছুটা পিছিয়ে ১৮ জুলাই রথযাত্রা উৎসব হচ্ছে। ফি বছরের মতোই মন্দির থেকে ওই দিন রথে সওয়ার হয়ে মদনমোহন বিগ্রহ যাবে গুঞ্জবাড়ি মন্দিরে।

বিকেল ৫টায় যাত্রাশুরু। বিশ্বসিংহ রোড, সুনীতি রোড, কেশব রোড ঘুরে বিগ্রহ গুঞ্জবাড়ি মন্দিরে ‘মাসির বাড়ি’ পৌঁছবে। ওই রথ সংস্কার, রঙ করা ছাড়াও গুঞ্জবাড়ি মন্দির চত্বর সংস্কারের পরিকল্পনাও পাকা হয়ে গিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্বিতীয় সপ্তাহের কিছুটা আগেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন দেবোত্তর কর্তারা। দেবোত্তরের এক কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, “২৫ জুলাই উল্টো রথের দিন মাসির বাড়ি থেকে মূল মন্দিরে ফিরবে রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন দেবের বিগ্রহ। মাঝের সময়ে রীতি মেনে মূল মন্দিরের সিংহাসনে ছোট মদনমোহন বিগ্রহের পুজো হবে।”

Advertisement

দেবোত্তর সূত্রেই জানা গিয়েছে, রথ থেকে উল্টো রথের দিন পর্যন্ত ফি বছরের মত এবারেও গুঞ্জবাড়ির মন্দির লাগোয়া এলাকায় মেলার আয়োজন হয়েছে। যানজট এড়ানোর কথা মাথায় রেখে আপাতত ঠিক হয়েছে, মন্দির চত্বরেই মেলা বসবে। বাইরে রাস্তা লাগোয়া এলাকায় দোকানপাট নিয়ে বসতে দেওয়া হবেনা।

যদিও তাতেও সমস্যার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। তাঁদের কয়েক জনের কথায়, শুধু মন্দিরের ভেতরে দোকানপাট বসানো হলে অনেকেই সুযোগ পাবেন না। তাছাড়া ওই সময় মন্দিরে টানা কীর্তনের অনুষ্ঠান ঘিরে ভক্তদের ভিড় বাড়বে। তাই বিষয়টি নিয়ে বিকল্প চিন্তাভাবনা করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন