ফুল নয়, পদ্মের কুঁড়ি, তার দামও ২০ টাকা। আমের পল্লব ৩ টাকা, গোটা আখ ২০ টাকা। দেবী লক্ষ্মীর ছোট্ট প্রতিমা ন্যূনতম ১৫০ টাকা, সরা ১০০ টাকা। লক্ষ্মীপুজোর বাজার দরের ধাক্কা সামলাতে জেরবার ক্রেতারা। আনাজপাতি থেকে ফলফুলসব-ই ঊর্ধ্বমুখী বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। দু’টি ধানের শিস ৫ টাকা, পদ্মপাতা ১০ টাকা করে মিলেছে জলপাইগুড়ির বাজারে।
সোমবার জলপাইগুড়ির দিনবাজারে ফুলকপি ৬০ টাকা এবং বাঁধাকপি ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। স্টেশন বাজারে শসার দাম উঠেছে ৮০ টাকা কেজিতে। বেগুন বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা, কুমড়ো ২০ টাকা, পটল ৩৫ টাকা, মুলো ৬০ টাকা কেজি প্রতি দামে বিক্রি হয়েছে। কেজি প্রতি ৮০ টাকা দিয়ে টম্যাটো কিনতে বাধ্য হয়েছেন গৃহকর্তা। দরদাম করলেও, কোনক্ষেত্রেই দাম কমাতে বিক্রেতারা রাজি হচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তাঁদের চড়া দামে কিনতে হয়েছে বলে খুচরো বিক্রেতারাও দাবি করেছেন।
যদিও এ দিন সকাল থেকেই শহরের প্রতিটি বাজারে ছিল উপচে পড়া ভিড়। কোনও সব্জির দাম আবার সময়ের সঙ্গে লাফিয়ে বেড়েছে। বিকেল নাগাদ দিনবাজারের করলা সেতুর মুখে দাঁড়িয়ে পূর্ত দফতরের কর্মী উত্তম সরকার বলেন, “সকালে এক দফায় বাজার করেছি। আখ কিনেছি ২০ টাকায়। বিকেলে দেখছি ২৫ টাকা চাওয়া হচ্ছে।” স্টেশন বাজারে একই অভিজ্ঞতা হয়েছে স্কুল শিক্ষক বিপ্লব দাসের। তিনি জানান, সকালে বরবটি ৪০ টাকা কেজি দামে দেদার বিক্রি হয়েছে। বিকেলে সেটাই দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকায়। ফলের বাজারেরও একই দশা বলে অভিযোগ। ঘটের ডাব হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ছোট্ট নারকেল ২০ টাকা দরে। কমলালেবু, আপেলের দাম বেড়ে হয়েছে ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কেজি। অসহায়তার কথা জানিয়েছেন খুচরো বিক্রেতারাও। দামের কারণে বিক্রি কমেছে বলেও তাঁরা দাবি করেছেন। দিনবাজারের সব্জি বিক্রেতা বিমল দাস বলেন, “প্রত্যেকে বাজেট কাটছাঁট করে কেনাকাটা করছেন।”