পথ অবরোধ বালুরঘাটে। —নিজস্ব চিত্র।
গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে বুধবার সকাল ১১টা থেকে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়া ও বাসিন্দাদের একাংশ। বুধবার গঙ্গারামপুরের নয়াবাজার হাইস্কুলের সামনে তপন-গঙ্গারামপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ যায়। প্রায় আড়াই মাস আগে ওই স্কুলের ইংরেজির এক শিক্ষক মইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাড়িতে পড়ানোর সময়ে অন্য স্কুলের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। ছাত্রীর পরিবারের তরফে স্কুলের প্রধানশিক্ষকের কছে অভিযোগ করা হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ঘটনার পরে স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রায় দু’মাস ছুটিতে ছিলেন। সোমবার থেকে ফের তিনি স্কুলে আসতে শুরু করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া অবধি তাকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে সরব হন বিক্ষোভকারীরা। বিকেলে গঙ্গারামপুরের বিডিও বিশ্বজিৎ সরকার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির প্রতিনিধি এবং ওই ছাত্রীর অভিভাবক ও বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই বৈঠকে ছাত্রীর অভিভাবক এবং বিক্ষোভকারীদের তরফে কেউ যাননি বলে অভিযোগ।
বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “ছাত্রীটির শ্লীলতাহানির বিষয়ে অভিভাবকেরা থানায় অভিযোগ করেননি। কেবল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করলেন। বিষয়টি জানা দরকার। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, “একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী আমার স্কুলের পড়ুয়া নয়। মইদুল ইসলামের কাছে ওই ছাত্রী বাড়িতে টিউশন পড়ত। ৮ জুন ছাত্রীর কাকা স্কুলে এসে মইদুলের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ জানান।” তিনি জানান, ছাত্রীর পরিবারকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া ছাড়াও শিক্ষককে স্কুলে আসতে বারণ করা হয়েছিল। ছাত্রীটির পরিবারের বক্তব্য, “পুলিশে অভিযোগ করে বিষয়টি চাউর করতে চাওয়া হয়নি। ওই শিক্ষক সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্যই শুধু বিষয়টি স্কুলে জানানো হয়েছিল।” অভিযুক্ত শিক্ষক মইদুল ইসলাম অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “১৬ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। আমার বয়স এখন ৫১। শিক্ষক হিসাবে আমার নাম রয়েছে। ষড়যন্ত্র করে বিষয়টি ঘটানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”