শুরু হল ঐতিহ্যের রাস

শুরু হল কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা। বৃহস্পতিবার সারাদিন উপোস থেকে রাতে মদনমোহন দেবের মন্দিরে পুরোহিতের পাশে বসে বিশেষ পুজো করেন কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন। রাত ৯টা নাগাদ নিয়ম রীতি মেনে রাসচক্র ঘুরিয়ে তিনি রাস উত্‌সবের সূচনা করেন। আরেকটি মঞ্চে রাসমেলার উদ্বোধন করেন পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। আগামী ১৮ দিন ধরে কোচবিহারে রাসমেলা চলবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৪৩
Share:

রাসচক্র ঘুরিয়ে উত্‌সবের সূচনা করছেন কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন।

শুরু হল কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা। বৃহস্পতিবার সারাদিন উপোস থেকে রাতে মদনমোহন দেবের মন্দিরে পুরোহিতের পাশে বসে বিশেষ পুজো করেন কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন। রাত ৯টা নাগাদ নিয়ম রীতি মেনে রাসচক্র ঘুরিয়ে তিনি রাস উত্‌সবের সূচনা করেন। আরেকটি মঞ্চে রাসমেলার উদ্বোধন করেন পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। আগামী ১৮ দিন ধরে কোচবিহারে রাসমেলা চলবে।

Advertisement

ছ’মাসের শিশুপুত্র, স্ত্রী ও আত্মীয়দের নিয়ে মন্দিরে গিয়েছিলেন জেলাশাসক। তিনি বলেন, “একটু অন্যরকম আজ মনে হচ্ছে। ঠাকুর, দেবতার প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস বরাবর রয়েছে। সারাদিন উপোস করেছিলাম। ছয় মাসের ছেলের ব্রত রেখেছি। কোচবিহারের মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করেছি।” পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “নিয়ম ও নিষ্ঠা মেনে রাসমেলা শুরু হল। মানুষের উন্মাদনায় মেতে উঠেছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সমস্তরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

কোচবিহারের রাসমেলার গাইডম্যাপ উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব। ওই ম্যাপে পুলিশ ও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ফোন নম্বর, পুলিশ ক্যাম্পের ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাসিন্দাদের সতর্ক করে কিছু বার্তাও দেওয়া হয়েছে। সেখানে যান নিয়ন্ত্রণ, পার্কিং, পুলিশ সহায়তা কেন্দ্রের উল্লেখ হয়েছে। পুলিশ সুপার জানান, ৯টি ওয়াচ টাওয়ার, ২৬টি সিসিটিভি বসানো হয়েছে। পুলিশ ক্যাম্প, অস্থায়ী লকআপ হয়েছে। প্রচুর মহিলা কনস্টেবলও মোতায়েন করা হয়েছে। ছিনতাই, ইভটিজিং নিয়ে পুলিশ কর্মীদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্ত ও অসম সীমানা নিয়ে বিএসএফ ও অসম পুলিশের যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

Advertisement

কোচবিহারে রাসমেলা এবার ২০২ বছরে পা দিল। মেলার কয়েকদিন মন্দির চত্বরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, ভক্তিগীতি, ভাওয়াইয়া, কীর্তন, নাটক, নৃত্য, বাউল, যাত্রা হবে।

মদনমোহন মন্দিরের পাশে আনন্দময়ী ধর্মশালা সাজিয়ে তোলা হয়েছে। তাতে দূর থেকে আসা ভক্তরা যাতে রাত কাটাতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ তো বটেই, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা এবং অসম থেকে প্রচুর মানুষ রাসমেলায় আসেন। মেলা ঘুরে রাতে মন্দির প্রাঙ্গণে কাটিতে অনেকে সকালে বাড়িতে ফেরেন। জেলাশাসক জানান, সব দিক ভেবে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

বৃহস্পতিবার হিমাংশুরঞ্জন দেবের তোলা ছবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন