শিলিগুড়িতে দ্বিতীয় বারের জন্য বসতে চলেছে আই-লিগের আসর। আগামী ২৯ মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের খেলা।
মাঠ তৈরি-সহ সমস্ত আয়োজন করা হয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামীতে যুব বিশ্বকাপ বা আইএসএলের মত আরও বড় প্রতিযোগিতার কথাও ভাবা হচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে ঘিরে। আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের এই প্রতিযোগিতাকে তারই আগে ‘ট্রায়াল’ হিসেবে দেখছেন কর্মকর্তারা। ওই প্রতিযোগিতাকে ঘিরে তাই শেষ পর্বের প্রস্তুতি চলছে। জাতীয় ফুটবল সংস্থা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) এবং রাজ্য ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আইএফএ)-এর কর্তারা অনেকেই হাজির থাকবেন। তাঁদের সামনে প্রতিযোগিতাকে সফল হিসেবে তুলে ধরতে সচেষ্ট ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা। এর আগে এআইএফএফ-এর পক্ষ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘায় কিছু পরিকাঠামোগত কিছু সংস্কারের করার কথা জানানো হয়েছিল। সে বিষয়েও এআইএফএফ এবং আইএফএ কর্তাদের সঙ্গে কারিগরি বিষয়ে কথা হতে পারে বলে ক্রীড়া পরিষদ সূত্রেই জানা গিয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। প্রাক্তন ভারতীয় জাতীয় ফুটবল ভাইচুং ভুটিয়াকেও আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্রীড়া পরিষদ সচিব অরূপরতন ঘোষ বলেন, “আপাতত আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশনের সফল করে তোলাটাই আমাদের লক্ষ্য।”
আট দলের দ্বিতীয় ডিভিশনের একটি সূচি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্রীড়া পরিষদের কাছে। তাতে কলকাতার মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ইউনাইটেড স্পোর্টস, দিল্লির হিন্দুস্তান ফুটবল ক্লাব, মিজোরামের আইজল ফুটবল ক্লাব, চানমারি ফুটবল ক্লাব, কাশ্মীরের লোন স্টার কাশ্মীর ফুটবল ক্লাব, মুম্বইয়ের কেনকার স্পোর্টস ক্লাব এবং পিফা স্পোর্টস ক্লাব। দুটি মাঠে খেলা হবে বলে ঠিক হয়েছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সঙ্গে রানিডাঙ্গার এসএসবি ময়দানেও খেলা হবে বলে জানানো হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই দুটি মাঠ ঘুরে দেখে সবুজ সংকেত দিয়েছেন এআইএফএফ কর্তারা। প্রতিদিন দুটি মাঠে দুটি করে মোট চারটি খেলা হবে। প্রথম খেলা শুরু হবে দুপুর ১২ টায়। দ্বিতীয় খেলা শুরু হবে বেলা ৩টেয়।
দর্শক টানতে টিকিটের কোনও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে না। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ফুটবল সচিব মানস দে বলেন, “সমস্ত গেটেই প্রবেশ অবাধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” শুধু আমন্ত্রিতদের জন্য ভিআইপি গ্যালারিটি সংরক্ষিত থাকবে বলে জানা গিয়েছে। শহর জুড়ে হোর্ডিং-ব্যানারে ছেয়ে ফেলার পরিকল্পনা হয়েছে। আপাতত উচ্চ মাধমিকের জন্য মাইকে প্রচার করা হবে না। তবে তা শেষ হলেই মাইকেও প্রচার শুরু হবে। খেলা চলবে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত।