সিঙ্গিমারি সেতু নয়, ১৩ স্তম্ভ প্রচারে হাতিয়ার কোচবিহারে

সিঙিমারি নদীর উপর ১৩টি স্তম্ভ। যার উপরে বসবে কংক্রিটের পাটাতন। লোকসভা ভোটের আগে অধনির্মিত এই সেতু ডান-বাম সব দলের প্রচারের বিষয়। সব দলই সেতু তৈরির কৃতিত্ব দাবি করে প্রচার শুরু করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৪ ০৪:২০
Share:

সিঙিমারি নদীর উপর ১৩টি স্তম্ভ। যার উপরে বসবে কংক্রিটের পাটাতন। লোকসভা ভোটের আগে অধনির্মিত এই সেতু ডান-বাম সব দলের প্রচারের বিষয়। সব দলই সেতু তৈরির কৃতিত্ব দাবি করে প্রচার শুরু করেছে।

Advertisement

কোচবিহারে দিনহাটা ও সিতাইয়ের মধ্যে সংযোগকারী ওই সেতুর কাজ রাজ্যে পরিবর্তনের পরেই শুরু হয়েছে বলে শাসক তৃণমূলের দাবি। বামেদের পাল্টা দাবি, তাদের আমলেই সেতুর টেন্ডার প্রক্রিয়া সেরে ফেলা হয়েছিল। অন্য দিকে কংগ্রেস ও বিজেপির দাবি তাদের দরবার-আন্দোলনের কারণেই সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

বছর দেড়েক আগে সেতু তৈরির কাজের সূচনা হয়। প্রায় এক কিমি দীর্ঘ সেতু তৈরি হলে দিনহাটা ও সিতাইয়ের সরাসরি সড়ক যাতায়াতে দূরত্ব কমে আসবে মাত্র ২০ কিলোমিটারে। সেতু না থাকায় ১০০ কিলোমিটার যাতায়াত করতে হয়। স্বাধীনতার পর থেকেই সেতুর দাবিতে আন্দোলনের শুরু। প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সেতু তৈরিতে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরে টেন্ডারও হয়েছিল কয়েক বছর আগে। বাম আমলে সেতুর শিলান্যাসও হয়। বর্তমানে সেতু তৈরির খরচ বেড়ে ১২৫ কোটি টাকা হয়েছে। বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ওই সেতুর কৃতিত্ব হাতছাড়া করতে রাজি নয় কোনও রাজনৈতিক দলই। কী বলছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা?

Advertisement

দিনহাটা মহকুমাতে তো বটেই, সারা জেলা জুড়েই বিভিন্ন সভায় সিঙিমারি সেতুর প্রসঙ্গ তুলছেন শাসক দলের নেতারা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি, “কংগ্রেস ৩০ বছর আর বামেরা ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকলেও বাসিন্দাদের দাবিকে মর্যাদা দিয়ে সেতুর কাজ শুরু করতে পারেনি। শিলান্যাস করে বোকা বানানো হয়েছে। অথচ রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার দশ মাসের মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই এটা সম্ভব হয়েছে। মানুষ সবই জানেন।”

লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী সেতুর জন্য কৃতিত্ব দাবি করতে গিয়ে নিজেকে ‘সেতু-বাবু’ বলেই দাবি করেছেন। সিতাইয়ের কংগ্রেস বিধায়ক তথা কংগ্রেস প্রার্থী কেশব রায় বলেন, “সেতুর দাবি নিয়ে এত বার পূর্ত দফতরে গিয়েছি যে ওই দফতরের আধিকারিকরা আমাকে সেতুবাবু বলে ডাকেন। বিধানসভায় জেতার পর সেতুকে পাখির চোখ করে দরবার শুরু করি। বিভিন্ন মন্ত্রীর কাছে গিয়েছি। বাসিন্দাদের এ সব বলতেই হচ্ছে।”

বামের প্রচারেও সিঙিমারি সেতু। ফরওয়ার্ড ব্লক জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ দাবি করে বলেন, “বাম আমলেই ওই সেতু নির্মাণের মূল কাজ হয়েছিল। ৬৮ কোটি টাকার টেন্ডারও হয়। কিন্তু বিধানসভা ভোটের বিধিনিষেধ শুরু হয়ে যাওয়ায় সে সময় কাজ থমকে যায়। পরে সেই কাজ শুরু হয়েছে। এতে নতুন সরকারের কৃতিত্ব নেই।” পিছিয়ে নেই বিজেপিও। দলের জেলা সম্পাদক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “বাম আবার কী করল? রাজ্যের নতুন সরকার কাজ শুরু করেছে এটা ঠিক। তবে আমরা লাগাতার আন্দোলন না করলে তা হত না। আন্দোলনের জেরে সরকার কাজ শুরুতে বাধ্য হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement