সোনা এ বার কোন দলে, জল্পনা তুঙ্গে হরিরামপুরে

দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। তাঁর এই দুর্দিনে ঘরের ছেলেকে ঘরে ফেরানোর জন্য অবশ্য দরজা খুলে দিয়েছে কংগ্রেস। আর পরিস্থিতি বুঝে তিনি নাকি এখন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারেও হিসেবনিকেশ কষছেন জোরকদমেই। রাজনীতির এই ত্রিভূজের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন দাঁড়িয়ে রয়েছেন হরিরামপুরের সদ্য বহিষ্কৃত নেতা শুভাশিস (সোনা) পাল। এদিকে তাঁর খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৪৯
Share:

দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। তাঁর এই দুর্দিনে ঘরের ছেলেকে ঘরে ফেরানোর জন্য অবশ্য দরজা খুলে দিয়েছে কংগ্রেস। আর পরিস্থিতি বুঝে তিনি নাকি এখন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারেও হিসেবনিকেশ কষছেন জোরকদমেই। রাজনীতির এই ত্রিভূজের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন দাঁড়িয়ে রয়েছেন হরিরামপুরের সদ্য বহিষ্কৃত নেতা শুভাশিস (সোনা) পাল। এদিকে তাঁর খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে পুলিশ।

Advertisement

বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা সোনা পাল ও তাঁর ভাইয়ের খোঁজে তল্লাশি চললেও, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সোনাবাবুর কোনও হদিস করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশের একাংশের দাবি, শীঘ্রই ওই ফেরার নেতা ও তাঁর ভাইদের হদিস মিলবে। ঘটনাচক্রে, এদিনই বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লক তৃণমূলের নেতৃত্বে কর্মী-সমর্থকদের সভা হয়। এই সভায় সোনা পালের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ করার দাবি তোলা হয়েছে।

এই অবস্থায় সোনা পালের রাজনৈতিক ভবিষ্যত্‌ নিয়েও নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। বুধবার বিকেলে বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র দলবিরোধী কাজের অভিযোগে শুভাশিস ওরফে সোনা পালকে ৬ বছরের জন্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সহ দলের যাবতীয় পদ থেকে সোনাকে সরিয়ে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। এর পরেই সোনা পালকে গ্রেফতার করতে সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ-প্রশাসন। বুধবার সন্ধ্যায় বিরাট পুলিশ বাহিনী পঞ্চায়েত অফিসে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত সোনা পাল ও তার দুই ভাই এর খোঁজে তাঁদের হরিরামপুরের বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।

Advertisement

তা হলে সোনাবাবু এখন কী করবেন? তাঁর বক্তব্য, “রাজনীতিতেই থাকব। তা থেকে আমাকে কেউ আলাদা করতে পারবে না।” তিনি জানান, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে সরানোর চিঠি পেলেই সিদ্ধান্ত নেবেন। সোনা পালের অনুগামীদের একাংশ অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁদের নেতা ফের কংগ্রেসে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন। বিষয়টি নিয়ে সোনাবাবুর প্রতিক্রিয়া, “যথাসময়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে সব জানিয়ে দেব।”

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায়ের দাবি, “তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভাঙতে শুরু করেছে। কেউ তৃণমূল ছাড়ছেন। কাউকে আবার ঠেলায় পড়ে বহিষ্কার করতে হচ্ছে। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরতেই পারেন।”

তবে সোনা বাবু নিজে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথাও ভাবছেন বলে তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দাবি করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন