সুনীতি অ্যাকাডেমির তিন জনকে শোকজ

আইন না মানা এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগে কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির এক শিক্ষিকা-সহ তিন জনকে শোকজ করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই তিন জনের মধ্যে তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির স্কুল ইউনিট কমিটির সভাপতি, সম্পাদকও আছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৪ ০২:২০
Share:

আইন না মানা এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগে কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির এক শিক্ষিকা-সহ তিন জনকে শোকজ করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই তিন জনের মধ্যে তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির স্কুল ইউনিট কমিটির সভাপতি, সম্পাদকও আছেন।

Advertisement

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের নাম সঞ্জিত সূত্রধর, সুরভি পাল ও রঞ্জু দত্ত। সঞ্জিতবাবু স্কুলের ‘মালি তথা চৌকিদার’ পদে আছেন। তিনি তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির স্কুল ইউনিটের সভাপতি। সংগঠনের ইউনিট সম্পাদক সুরভি দেবী শিক্ষিকা। অন্য জন রঞ্জু দত্ত ছাত্রী আবাসের ‘মেট্রন’ পদে রয়েছেন। গত ২৩ অগস্ট ওই তিন জনকে শোকজের চিঠি পাঠান স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক তথা প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনজনই শোকজের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। আগামী ৩০ অগস্টের মধ্যে তাঁদের শোকজের উত্তর দেওয়ার কথা।

ঘটনাটিকে ঘিরে কোচবিহারের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মহলে আলোড়ন পড়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, পরিচালন সমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনে প্রধান শিক্ষিকা তিনজনকে শোকজের চিঠি পাঠিয়েছেন। প্রধান শিক্ষিকা অবশ্য এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বিশদে কিছু জানাতে চাননি। এসএমএসে জেলাশাসকের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “নিয়ম মানা না হলে প্রধান শিক্ষিকা শোকজ করতেই পারেন।”

Advertisement

স্কুল সূত্রেই জানা গিয়েছে, সঞ্জিত সূত্রধর ‘মালি’ পদে ঠিকঠাক কাজ করছেন না বলে অভিযোগ। শোকজের চিঠিতেও ওই প্রসঙ্গে কেন স্কুলে উদ্যান করা হচ্ছে না, সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছে। সঞ্জিতবাবু অবশ্য বলেন, “গত ২৩ অগস্ট শোকজের চিঠি পেয়েছি। স্কুল থেকে উদ্যান তৈরির চারা, বীজ, সারের মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ দেওয়া হয় না। তাই বাগানের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু স্কুল খোলা, বন্ধ করার মতো অন্য কাজ করছি। সময় মতো ওই অভিযোগের উত্তর দেব।”

সুরভি দেবীকে অবশ্য শোকজ করা হয়েছে স্কুলের শিক্ষিকাদের হাজিরা খাতা এক কর্মীর মাধ্যমে জেরক্স করানোর অভিযোগে। এদিন সুরভি দেবী বলেন, “সময় মতো শোকজের উত্তরেই যা জানানোর জানাব। সংবাদমাধ্যমে এসব নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।” আর সুনীতির ছাত্রী আবাসের মেট্রন রঞ্জু দত্ত মাঝে মধ্যে রাতে থাকেন না বলে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শোকজের চিঠি পেয়েছেন। রঞ্জু দত্ত বলেন, “গুরুতর অসুস্থ না হলে রাতে ছাত্রী আবাসে থাকিনি, এমন হয়নি। শোকজের উত্তর দিয়ে দেব।”

ঘটনায় অবশ্য ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠনটি। সমিতির জেলা সভাপতি অমিতাভ রায় বলেন, “বাম মনোভাবাপন্ন সংগঠনের একাংশ ষড়যন্ত্র করে প্রধান শিক্ষিকাকে ভুল বুঝিয়ে এসব করিয়েছেন। শোকজের চিঠিতে মেমো নম্বর বসানো হয়নি বলে শুনেছি। প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলব।” এই প্রসঙ্গে বাম প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির রাজ্য সম্পাদক দীপক দাস বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। ষড়যন্ত্র দূরে থাক, আমাদের কারও এসব ভাবারও সময় নেই। সবটাই স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের বিষয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন