স্বামীকে খুনের সন্দেহে স্ত্রীকে মার

ভিন্‌রাজ্যে গিয়ে স্বামীকে খুন করেছেন, এই সন্দেহে এক মহিলাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাসিন্দারা। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহিনীগঞ্জ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, বছর আঠাশের ওই মহিলার নাম মেনকা বিবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৪ ০১:২৬
Share:

ভিন্‌রাজ্যে গিয়ে স্বামীকে খুন করেছেন, এই সন্দেহে এক মহিলাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাসিন্দারা। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহিনীগঞ্জ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, বছর আঠাশের ওই মহিলার নাম মেনকা বিবি। আপাতত তাঁকে রায়গঞ্জ থানায় রেখেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মেনকা ও তাঁর স্বামী মোজাফ্ফর আলি দীর্ঘদিন ধরে উত্তরপ্রদেশের রামপুর থানা এলাকায় দিনমজুরি ও রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। তাঁদের বছর চারেকের ছেলে মহম্মদ নবাব বাবা-মায়ের সঙ্গে রামপুরেই থাকে। স্থানীয় বসিন্দারা জানান, গত ১৭ অগস্ট মেনকা তাঁর ছেলে নবাবকে নিয়ে মোহিনীগঞ্জের বাড়িতে ফিরে আসেন। স্বামীকে না দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁদের দাবি, নবাবকে প্রশ্ন করে তাঁরা জানতে পারেন, মেনকা তাঁর স্বামীকে চাকু মেরেছেন। এরপরেই তাঁরা ওই মহিলাকে মারধর করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। রায়গঞ্জ থানার আইসি গৌতম চক্রবর্তী জানান, জেরায় মেনকা দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী রামপুরে দিনমজুরির কাজ করছেন। থানায় বসে তিনি বলেন, “আমার ছেলে টিভিতে সিনেমা দেখে কিছু না বুঝে বাসিন্দাদের ওই কথা বলে। আমার স্বামী রামপুরে রাজমিস্ত্রীর কাজ করছেন।” তিনি বলেন, “ওই মহিলার বিরুদ্ধে বাসিন্দারা কোনও লিখিত অভিযোগ জমা দেননি। তাই মোজাফ্ফরবাবুর পরিবারের লোকজনের হাতে মেনকাকে তুলে দেওয়া হবে। মেনকা তাঁদেরকে নিয়ে আজ, সোমবার রামপুরের রওনা হবেন।” সেখানে মোজাফ্ফরের খোঁজ না মিললে তাঁর পরিবারের লোকজনকে রামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে আইসি জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, বাসিন্দারা দাবি করলেও সত্যিই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কিনা তা নিশ্চিত ভাবে না জানলে মেনকাকে গ্রেফতার করা সম্ভব নয়। আইসি জানিয়েছেন, রায়গঞ্জ থানার তরফে রামপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়। বিষয়টি রামপুর থানাকে খতিয়ে দেখতেও বলা হয়েছে। বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মনসুর আলি বলেন, “ওই বধূ তাঁর স্বামীকে খুন করেছেন কি না, তা পুলিশ দেখবে। বাসিন্দারা বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে ওই মহিলাকে মারধর করে ঠিক কাজ করেননি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন