সীমান্তে বাণিজ্যে বাধা, ক্ষোভ

নেপাল থেকে ভারতে আসা ও ভারত থেকে নেপালে যাওয়া সমস্ত গাড়িগুলির কাছ থেকে জোর করে মোটা টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন ব্যবসায়ীরা। তা দিতে অস্বীকার করলে ওই গাড়ি নিয়ে দেশের ভিতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে দু’দেশের ভিতরে গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের খরচ মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:০৫
Share:

নেপাল থেকে ভারতে আসা ও ভারত থেকে নেপালে যাওয়া সমস্ত গাড়িগুলির কাছ থেকে জোর করে মোটা টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন ব্যবসায়ীরা। তা দিতে অস্বীকার করলে ওই গাড়ি নিয়ে দেশের ভিতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে দু’দেশের ভিতরে গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের খরচ মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ।

Advertisement

শুক্রবার শিলিগুড়ি লাগোয়া ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কিতে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন ভারত সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োজিত একটি সংস্থা। এ দিন পর্যটন ও পণ্য পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা সমস্যার কথা জানাতে গিয়ে হিসাব বহির্ভূত অর্থ আদায়ের অভিযোগ তোলেন। ভারত থেকে গাড়ি নেপালে ঢুকলে ধুলাবাড়ি পর্যন্ত যেতে পারে। তারপর সেখান থেকে দেশের ভিতরে ঢুকতে হলে আড়াইশো টাকা প্রতিদিন হিসেবে গাড়িগুলিকে দিতে হয় বলে জানাচ্ছেন নেপালের মেচি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয় ডালমিয়া। তিনি দাবি করেন, “ভারতীয় গাড়িগুলিকে যেমন নেপালে তোলা আদায়ের সমস্যা ভোগ করতে হয়, তেমনি নেপালের গাড়িগুলিকে একই সমস্যা ভোগ করতে হয় পানিট্যাঙ্কি থেকে নকশালবাড়ি ঢুকতে।”

সমস্যা নিয়ে সরব হন ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি সম্রাট সান্যালও। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, “পর্যটকেরা এইসব সমস্যার কারণে হয়রানির মুখে পড়ছেন। সমস্যা এড়াতে অনেকেই নেপালের গাড়ি নিয়েই ভিতরে যান। এতে বারবার গাড়ি পরিবর্তন করতে হয়। পর্যটকেরাও ক্ষোভ প্রকাশও করেন।”

Advertisement

বেআইনি অর্থ আদায় নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে মুহূর্তে পদক্ষেপ করবেন বলে জানান ও নেপালের কাঁকরভিটার ডিএসপি অর্জুন সিংহ। তিনি বলেন, “কোনও পর্যটক বা ব্যবসায়ী এখন থেকে সমস্যায় পড়লে আমাকে জানান। আমি ব্যবস্থা নেব।” সমস্যার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান এসএসবি আধিকারিক এ কে সিংহ। তিনি বলেন, “দেশের ভিতরের অংশের দায়িত্ব রয়েছে দার্জিলিং পুলিশ। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাব।”

ভারত-নেপালের পানিট্যাঙ্কি-কাঁকরভিটা সীমান্তে রয়েছে মেচি নদী। ওই নদীর উপরে একমাত্র সেতুটিই দু’দেশে মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। বর্তমানে লোকের যাতায়াতের সংখ্যার তুলনায় সেতুটি অপ্রশস্ত বলে এদিন আলোচনায় তার পরিবর্ত চাই বলে দাবি ওঠে। ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ় ইন নর্থ বেঙ্গলের সম্পাদক বিশ্বজিত দাস বলেন, “ভদ্রপুর দিয়ে বিকল্প বাণিজ্যপথ তৈরি করার প্রস্তাব রয়েছে। পাশাপাশি এই সেতুটিরও বিকল্প তৈরি হলে সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে।” পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে যানজট নিয়েও অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট করে সরকারি স্তরে পেশ করা হবে বলে জানান ব্যবস্থাপক সংস্থার পক্ষে পৃথ্বীরাজ নাথ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন