সালিশি করতে গিয়ে হাঁসুয়ার কোপে জখম কংগ্রেস সদস্য

সালিশি সভায় বিচার করতে গিয়ে এক গ্রামবাসীর হাঁসুয়ার কোপে বাঁ হাতের পাঁচটি আঙুল খোয়ালেন কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্য। বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ ফরাক্কা থানার চর সুজাপুর গ্রামে এই ঘটনার পরে কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ সিরাজুল ইসলামকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৪ ০২:১৫
Share:

মহম্মদ সিরাজুল ইসলাম।—নিজস্ব চিত্র।

সালিশি সভায় বিচার করতে গিয়ে এক গ্রামবাসীর হাঁসুয়ার কোপে বাঁ হাতের পাঁচটি আঙুল খোয়ালেন কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্য। বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ ফরাক্কা থানার চর সুজাপুর গ্রামে এই ঘটনার পরে কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ সিরাজুল ইসলামকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর ভাইপো আব্দুল খালেদের অভিযোগ, “আবু কালাম ও টিপু সুলতান আমার কাকার উপর হামলা করেছেন। ওঁদের বিরুদ্ধে ফরাক্কা থানায় অভিযোগ জানাতে যাচ্ছি।” ফরাক্কা থানার আইসি দাউদ হোসেন বলেন, সালিশি সভায় গোলমালের জেরে এক পঞ্চায়েত সদস্যের পাঁচটি আঙুল কেটে গিয়েছে। অভিযোগ শোনার পর এক অফিসারকে মালদহে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে চর সুজাপুরের গ্রামের আইসুদ্দিন সেখের কয়েকটি ছাগল প্রতিবেশী আবু কালামের জমিতে ঢুকে পটল, ভুট্টা খেয়ে নিয়েছিল। তাই নিয়ে কালকে আইসুদ্দিন শেখের সঙ্গে আবু কালামের বচসা হয়। হাতাহাতিও হয়। গ্রামের দুই বাসিন্দার বচসা মিটমাট করতে বুধবার গ্রামের কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্য সালিশি সভা ডেকেছিল। এদিন দুপুরে গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় আবুল শেখের বাড়িতে সালিশি সভা বসে। সভায় গিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজুল ইসলামও। সালিশি সভা বসতেই আবু কালাম চিৎকার করে বলতে থাকেন, “আমাদের দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদে কোনও রাজনীতি নেই। সালিশি সভায় কেন রাজনীতির লোক থাকবে?”

এ কথা বলেই মহম্মদ সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে আবু কালামের বচসা শুরু হয়। এরপর হাতাহাতি। তখন ব্যাগ থেকে আবু কালাম ও টিপু সুলতান হাঁসুয়া নিয়ে মহম্মদ সিরাজুল ইসলামের উপর চড়াও হন। হামলার হাত থেকে বাঁচতে সিরাজুল ইসলাম বাঁ হাত তুললে হাঁসুয়ার কোপে তাঁর ওই হাতের পাঁচটি আঙুল কেটে হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এর পর টিপু সুলতান বোমা ফাটাতে ফাটাতে সালিসি সভা থেকে পালিয়ে যায়। সিরাজুল জানান, গ্রামের লোকেরাই তাঁকে বিষয়টি মিটমাট করে নিতে বলেছিলেন। তিনি সালিশি সভায় যান। তারপরেই আচমকা ক্ষোভের মুখে পড়েন।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন