প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি দ্বিতীয় স্থান পায়নি। দ্বিতীয় হয়েছে আসলে নির্দল। বিজেপি হয়েছে তৃতীয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন দলের প্রাপ্ত ভোট শতাংশের হিসাব দিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) রামলালের কাছে এই তথ্য তুলে ধরলেন বঙ্গীয় দলের এক নেতা।
পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই দ্বিতীয় হওয়ার আনন্দ বার বার প্রকাশ করেছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু দলীয় সূত্রের খবর, বঙ্গের ওই বিজেপি নেতা বৈঠকে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় অন্য নেতাদের উপস্থিতিতেই রামলালকে জানান, পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থীরা পেয়েছেন প্রায় ২৯% ভোট। আর বিজেপি পেয়েছে প্রায় ১৮% ভোট। তিনি আরও জানান, নির্দল প্রার্থীদের বেশির ভাগই তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ। তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিপুল মাত্রা বোঝাতে তিনি ওই তথ্য পেশ করেন। কিন্তু দলীয় সূত্রের খবর, রামলাল-সহ বৈঠকে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যে বিজেপি-র হাল ‘উপলব্ধি’ করেছেন।
বিজেপি সূত্রের আরও খবর, দলের সংগঠনের অবস্থা যে জোর গলায় বলার মতো নয়, তা রামলাল টের পেয়েছেন বিদ্বজ্জন সেলের সঙ্গে বৈঠকেও। সেখানে উপস্থিতির হার ‘আশানুরূপ’ নয় বলে উষ্মা প্রকাশ করেন রামলাল।
ভোট শতাংশের বিচারে বিজেপির তৃতীয় স্থানে থাকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের তিন স্তরেই তৃণমূলের পরে যে রাজনৈতিক দল রয়েছে, সেটা বিজেপি-ই। সুতরাং, ওই ব্যাখ্যা অবান্তর।’’
সংগঠন কতটা মজবুত হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে কিন্তু বিজেপি মুক্ত হতে পারছে না। দলীয় সূত্রের খবর, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করেছেন, মুকুলবাবু রাজ্য এবং জেলা নেতৃত্বকে না জানিয়ে সমান্তরাল কর্মসূচি নিচ্ছেন। যেমন— তিনি পঞ্চায়েতের কয়েক জন জয়ী প্রার্থীকে নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্য নেতৃত্বকে না জানিয়ে। যদিও দিলীপবাবুকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমার এ নিয়ে কিছু বলার নেই।’’ আর মুকুলবার বক্তব্য, ‘‘এ রকম কিছু দিলীপবাবু বলেননি।’’