Midday Meal Scheme

সস্তায় সরকারি ডিম মিড-ডে মিলের পাতে

রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে বাজারের থেকে সস্তায় ডিম কিনে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের মিড-ডে মিলের পাতে দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন শিক্ষা দফতরের কর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২২ ১০:৩২
Share:

প্রাথমিকে মিড-ডে মিলে এখন ছাত্র পিছু দৈনিক বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। ফাইল চিত্র।

এক একটা ডিমের দাম সাড়ে পাঁচ থেকে ছ'টাকা। অগ্নিমূল্যের বাজারে মিড-ডে মিলে সপ্তাহে একটা করে ডিমও অনেক সময় পড়ুয়াদের পাতে দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে বাজারের থেকে সস্তায় ডিম কিনে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের মিড-ডে মিলের পাতে দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন শিক্ষা দফতরের কর্তারা।

Advertisement

প্রাথমিকে মিড-ডে মিলে এখন ছাত্র পিছু দৈনিক বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। উচ্চ প্রাথমিকের হয়েছে ৮ টাকা ১৭ পয়সা। আগের তুলনায় প্রাথমিকে বরাদ্দ বেড়েছে মাত্র ৪৮ পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকে মাত্র ৭২ পয়সা। অগ্নিমূল্যে এই বৃদ্ধি কোনও কাজে আসবে না, মনে করছেন স্কুল শিক্ষকেরা। শিক্ষা দফতরের এক কর্তার কথায়, তাঁরা জেনেছেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর ডিম উৎপাদনের ব্যাপারে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তারা 'মা’ ক্যান্টিনেও ডিম সরবরাহ করেছে। প্রাণিসম্পদ দফতরের ডিমের সরকারি দাম বাজার মূল্যের থেকে অনেকটাই কম। মিড-ডে মিলের জন্য যদি ওই ডিম কেনা যায়, পড়ুয়াদের সপ্তাহে দু'দিন দেওয়া সম্ভব। রাজ্য জুড়ে সমস্ত স্কুলের প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের ছাত্রছাত্রীদের মিড-ডে মিলের ডিমের যোগান কি দিতে পারবে প্রাণিসম্পদ দফতর? শিক্ষা দফতরের ওই কর্তার কথায়, "রাজ্যের সব স্কুল তো একই দিনে মিড-ডে মিলে ডিম দেয় না। নির্দিষ্ট রুটিন করে যদি স্কুল পিছু ডিমের সরবরাহ করা যায়, তা হলে বোধহয় সব স্কুলেই সরবরাহ সম্ভব। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা দরকার।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement