সাংসদরাও গ্রাম-দর্শনে যাবেন ‘দিদিকে বলো’য়

এখন থেকে নিজের এলাকায় কাজের বাইরেও অন্য জেলায় প্রতি মাসে পাঁচ দিন করে দলীয় সাংসদদের থাকতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৫৩
Share:

ফাইল চিত্র।

বিধায়কদের পরে এ বার দলের সাংসদদেরও ‘দিদিকে বলো’ নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

এখন থেকে নিজের এলাকায় কাজের বাইরেও অন্য জেলায় প্রতি মাসে পাঁচ দিন করে দলীয় সাংসদদের থাকতে হবে। কোন সাংসদ কবে কোথায় প্রচারে যাবেন, তা অবশ্য পরে দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে সাংসদেরা যাতে গ্রামে গ্রামে গিয়ে রাত কাটিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে পারেন, সে জন্য জেলা সভাপতি এবং জেলা সভাধিপতিদেরও সাংসদদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।

গত একমাস ধরে তৃণমূলের বিধায়কেরা ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়ে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন। সোমবার কালীঘাটের তাঁর বাড়িতে এই কর্মসূচির প্রথম মাসপূর্তির জন্য দলের সকলকে এবং মানুষকে আর একবার অভিনন্দন জানিয়েছেন মমতা। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে ‘দিদিকে বলো’র সূচনা হয়েছিল। এ দিনের বৈঠকে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসা প্রশান্তকেও এই জনসংযোগ কর্মসূচির সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান মমতা।

Advertisement

বুথে বুথে জনসংযোগ বাড়িয়ে সংগঠনের শক্তি বাড়াতে বারবারই পরামর্শ দেন মমতা। এ দিন মমতার বৈঠকের আগে প্রশান্ত ও অভিষেকের উপস্থিতিতে জেলা সভাপতিদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে সব জেলায় দলের এক জন করে সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মীকে টিম পিকে-র সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ‘কো-অর্ডিনেটর’ হিসেবে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হল, তাঁদের বেশিরভাগই যুব সভাপতি অভিষেকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। রাজ্যের সঙ্গে জেলার কাজের সমন্বয়ের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে এই কো-অর্ডিনেটরদের।

সংসদের অধিবেশন চলাকালীন লোকসভা এবং রাজ্যসভায় দলের সাংসদদের মধ্যে কে কোন বিষয়ে কী বলবেন, সে ব্যাপারে সমন্বয় রাখার জন্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দীনেশ ত্রিবেদীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সমন্বয় রাখার কাজ করবেন সুদীপ এবং দীনেশ। এর বাইরে কয়েকটি রাজ্যে ঘাসফুলের সংগঠন বিস্তারের দিকে বিশেষ নজর দিতে চাইছেন মমতা। সে জন্য অসম, ত্রিপুরা-সহ উত্তরপূর্বের বেশ কয়েকটি রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে। ওড়িশায় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাংসদ মানস ভুঁইয়াকে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা। ঝাড়খণ্ডে দলের কাজ বাড়ানোর দায়িত্ব পেয়েছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন