না খেয়ে বার হন সুধীন

তাঁর বিলাপ, ‘‘সবে তারাপীঠ থেকে ফিরেছে লোকটা। সে সময় শুভঙ্করের ফোন এল। ফোন পেয়ে না খেয়েই বেরিয়ে পড়ল। কত বার বললাম, এক মুঠো খেয়ে যাও। খেল না।’’ উল্লেখ্য, সুধীনকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁরই প্রতিবেশী শুভঙ্কর মজুমদারের বিরুদ্ধে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

রানাঘাট শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৯ ০১:৪০
Share:

শোকাকুল: নিহত সুধীন সোমের বাড়িতে পরিজনেরা। শুক্রবার চাকদহে। নিজস্ব চিত্র

এক মুঠো খেয়ে যাওয়ার জন্য বারবার সাধছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর কথায় কান দেননি। ফোন পেয়ে তড়িঘড়ি বেরিয়ে পড়ে ছিলেন। সেই যে বেরিয়ে গেলেন, আর ফিরলেন না। সে কথা যত মনে পড়ছে ততই ডুকরে উঠছেন নিহত যুব তৃণমূল নেতা সুধীন সোমের স্ত্রী গায়ত্রী।

Advertisement

তাঁর বিলাপ, ‘‘সবে তারাপীঠ থেকে ফিরেছে লোকটা। সে সময় শুভঙ্করের ফোন এল। ফোন পেয়ে না খেয়েই বেরিয়ে পড়ল। কত বার বললাম, এক মুঠো খেয়ে যাও। খেল না।’’ উল্লেখ্য, সুধীনকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁরই প্রতিবেশী শুভঙ্কর মজুমদারের বিরুদ্ধে।

রাস্তার ধারে পাকা দেওয়ালের উপর টিনের ছাউনির ঘর। সেই বাড়িতে স্ত্রী-ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকতেন সুধীন সোম। বাড়ির অদূরে সুধীন খুনে অভিযুক্ত শুভঙ্কর মজুমদারের বাড়ি। নিহত সুধীনের স্ত্রী গায়ত্রী বলেন, ‘‘ওই শুভঙ্কররের পরিবারের জন্য আমি নিজে চাল-ডাল ও মেয়ের জন্য খাতা-পেনসিল কিনে দিয়েছি। এক বারও সেই কথা মনে রাখল না ও। স্বামীকে খুন করে দিল।’’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘‘স্বামী মানুষের মিশতে ভাল বাসত। মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে জমিও বিক্রি করেছে। এখন আমাদের কিছুই রইল না।”

সুধীনের ছেলে সৌমিক কলেজ ছাত্র। তিনি বলেন, ‘‘আমি এক জন খুনিকে দেখেছিলাম। বাকিদের পাড়ার লোকেরা দেখেছেন। তাদের সকলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। বাবার খুনিদের চরম শাস্তি চাই।’’ শুক্রবার বিকালে সুধীন সোমের বাড়িতে গিয়েছিলেন মন্ত্রী রত্না ঘোষ, চাকদহ শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি সাধন বিশ্বাস। রত্নার দাবি, “দলের দক্ষ যুব সংগঠককে বিজেপি খুন করেছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘খুনের ঘটনার কথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানেন। তিনি নিজে খোঁজ নিচ্ছিলেন, বাড়িতে চাকরি করার মতো কেউ আছে কিনা। আমি সুধীনের ছেলের কথা বলেছি। তিনি চাকরির ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন