তখনও নেভেনি আগুন। নারায়ণগড়ের তুতরাঙা গ্রামে। ফাইল চিত্র।
হঠাত্ই প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের তুতরাঙা গ্রাম। রবিবার বিকেলের ঘটনা। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণটি হয়েছে ওই গ্রামেরই একটি বাজি কারখানায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাজি কারখানার মালিক রূপকুমারের (৫২)।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে গ্রামবাসীরাও ছুটে আসেন। এত গ্রামবাসীর কথায়, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় চার দিকে ধোঁয়া আর বারুদের গন্ধে ভরে গিয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে চকলেট বোমা, গাছ বোমা-সহ আরও বহু নিষিদ্ধ বাজির টুকরো। কারখানার পুরোটাই লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। আর সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পড়ে রয়েছেন কারখানারই মালিক রূপকুমার। গোটা শরীর তাঁর ঝলসে গিয়েছিল। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, বেআইনি বাজি তৈরির ব্যবসা ছিল রূপকুমারের। এ দিনও নিজের বাড়িতেই বাজি তৈরি করছিলেন তিনি। সেই সময়েই বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কোনও ভাবে মজুত থাকা বাজিতে আগুন লেগে এই ঘটনা ঘটেছে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “আমরা গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছি। প্রাথমিকভাবে যতটুকু জানা যাচ্ছে এই বাজি কারখানার লাইসেন্স ছিল না। এক্ষেত্রে কীভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে তা তদন্তের পরেই বলা যাবে।”
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, বোমা-গুলি-আগুন, রণক্ষেত্র