শিলিগুড়ির পার্ক থেকে উধাও একটি পুরুষ চিতাবাঘ। —ফাইল চিত্র।
ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনেই চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়াল শিলিগুড়িতে।
শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কের এনক্লোজার থেকে একটি চিতাবাঘ পালানোয় রীতিমতো ভীত শিলিগুড়ি এবং তার আশপাশের এলাকার মানুষজন।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, প্রতি দিন সকাল ১০টায় ওই পার্ক খোলার আগে একটি রুটিন পরিদর্শন করেন বনকর্মীরা। তবে এ দিন নিয়মমাফিক পরিদর্শনের সময় পার্কের এনক্লোজারে শচীন নামের একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘকে খুঁজে পাননি তাঁরা। তত ক্ষণে দর্শণার্থীদের জন্য পার্কের টিকিট বিক্রিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, চিতাবাঘটির হদিশ না মেলায় দর্শণার্থীদের জন্য পার্কের দরজা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বন দফতর। যদিও বন দফতর বা পার্ক কর্তৃপক্ষ— কোন পক্ষই এ নিয়ে সরকারি ঘোষণা করেননি। বন দফতর সূত্রে খবর, এ দিন দুপুর পর্যন্ত ওই চিতাবাঘটির খোঁজ মেলেনি।
(আজকের তারিখে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটেছিল অতীতে, তারই কয়েক ঝলক দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।)
আরও পড়ুন: ‘ফেরার’ রাজাই আবার পুরসভায়
সেবক রোডে বেঙ্গল সাফারি পার্কটি যথেষ্ট ব়ড় এলাকা নিয়ে ছড়িয়ে রয়েছে। তবে পার্কের ভিতরেই কোথাও ওই চিতাবাঘটি লুকিয়ে রয়েছে, নাকি পার্ক সংলগ্ন কোনও জঙ্গলে চলে গিয়েছে, তা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে ধোঁয়াশায় ছিলেন বনকর্মীরা। পার্ক থেকে যদি ওই চিতাবাঘটি পালিয়েও যায় বলে ধরে নেওয়া যায়, তবে পার্কের উঁচু তার টপকে কী ভাবে সেটি পালাল, তা নিয়েও ধন্দে পার্ক কর্তৃপক্ষ। তবে গোটা পার্ক তন্ন তন্ন করে খোঁজার পর বনকর্মীরা নিশ্চিত যে ওই চিতাবাঘটি পার্ক থেকে পালিয়ে পাশের জঙ্গলে চলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘুম-গুলির বিষেই কি চিরঘুমে গন্ডার
চিতাবাঘের হদিশ না মেলা নিয়ে দু’টি সম্ভাবনার কথা বলছেন বন দফতরের কর্তারা। বনকর্মীদের একাংশের মতে, পার্কের সামনে থাকা উঁচু গাছের ডালে উঠে তার টপকে যেতে পারে চিতাটি। অন্য অংশের মতে, বর্ষবরণের রাতে শিলিগুড়িতে প্রচুর শব্দবাজি পোড়ানো হয়েছে। সেই আওয়াজেই ভয় পেয়ে হয়তো প্রথমে পার্কের কোথাও লুকিয়ে ছিল। এর পর সেটি পালিয়ে যায় পাশে জঙ্গলে।
তবে দর্শকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁদের পার্কের ভিতর ঢোকা বন্ধ রেখেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
(মালদহ, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং সহউত্তরবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবরপড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)