বর্ষা এসে পৌঁছতে এক মাস

মাঝ-জুনের আগে দক্ষিণবঙ্গে পৌঁছবে না বর্ষার ট্রেন। তেমনই দুঃসংবাদ দিচ্ছে নয়াদিল্লির মৌসম ভবন। কারণ, এ বছর মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে পা রাখতেই দেরি করবে বর্ষা। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এ দেশে ঢোকে মূলত কেরল দিয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৬ ০৩:৩২
Share:

মাঝ-জুনের আগে দক্ষিণবঙ্গে পৌঁছবে না বর্ষার ট্রেন। তেমনই দুঃসংবাদ দিচ্ছে নয়াদিল্লির মৌসম ভবন।

Advertisement

কারণ, এ বছর মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে পা রাখতেই দেরি করবে বর্ষা। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এ দেশে ঢোকে মূলত কেরল দিয়ে। মৌসম ভবনের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, কেরলে বর্ষা ঢোকে মোটামুটি ১ জুন। সেখান থেকে দক্ষিণবঙ্গ সপ্তাহখানেকের পথ। সেই হিসেবে এখানে বর্ষার ‘অ্যারাইভাল’ ৮ জুন। কিন্তু মৌসম ভবনের অনুমান, এ বার কেরলেই বর্ষা আসতে আসতে ৭ জুন হয়ে যাবে। ফলে বঙ্গেও পিছোবে বর্ষা।

এ বছর মার্চ মাস ইস্তক দক্ষিণবঙ্গের পরিমণ্ডলে জলীয় বাষ্পে টান। ফলে তেমন বৃষ্টি হয়নি। উল্টে ঝাড়খণ্ডের শুখা গরম বাতাসের আঁচে গোটা এপ্রিল দক্ষিণবঙ্গ শুকিয়ে কাঠ হয়েছে। হিসেব বলছে, ১ মার্চ থেকে ১১ মে পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪৮% কম বৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় বর্ষার দেরি হলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি আরও বাড়বে। এতে দক্ষিণবঙ্গের চাষবাস ধাক্কা খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।

Advertisement

আলিপুর হাওয়া অফিসের কর্তারা অবশ্য বলছেন, বেশ ক’বছর ধরেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা দেরিতে ঢুকছে। ‘‘গত বছরও তো দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা দেরিতে ঢুকেছিল। তবু অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের বর্ষা-কপাল ভালই ছিল।’’— ভরসা দিচ্ছেন আলিপুরের এক আবহবিজ্ঞানী। আশ্বাসে বুক বাঁধা ছাড়া উপায় কী?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement