নিট-এ প্রথম কুড়িতে বাংলা থেকে মাত্র এক

মেধা-তালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে ছাত্রী মাত্র এক জন। প্রথম ২৫ জনের মধ্যে ন’জন ছাত্রী। সামগ্রিক ভাবে ছাত্রীদের পাশের হার বেশি। পরীক্ষার্থীর মোট সংখ্যাতেও ছাত্রদের টেক্কা দিয়েছেন ছাত্রীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৭ ০৪:১৪
Share:

মেডিক্যালের সর্বভারতীয় অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)-য় বাংলায় প্রশ্নপত্র কঠিন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ফল বেরোনোর পরে দেখা যাচ্ছে, মেধা-তালিকায় প্রথম ২০ জনে ঠাঁই হয়েছে রাজ্যের মাত্র এক জন পরীক্ষার্থীর।

Advertisement

অভিন্ন প্রবেশিকায় নানা ভাষার প্রশ্ন ভিন্ন ভিন্ন মানের হবে কেন, সেই প্রশ্ন ওঠে রাজ্যে রাজ্যে। কলকাতা-সহ কয়েকটি হাইকোর্টে মামলাও হয়। অনেক টালবাহানার পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুক্রবার নিটের ফল ঘোষণা করা হয়। মেধা-তালিকা জানাচ্ছে, পঞ্চদশ স্থান অধিকার করেছেন শিলিগুড়ির হরষিত আনন্দ। তাঁর বাবা-মা দু’জনেই চিকিৎসক। হরষিতের পড়াশোনা শিলিগুড়িরই দিল্লি পাবলিক স্কুলে।

প্রথম ৫০ জনের তালিকায় ৩৪ নম্বরে নাম রয়েছে তমোঘ্ন ঘোষের। দিল্লি আইআইটি-র ছাত্র তমোঘ্ন গত বছর কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পাশ করেছিলেন। আইআইটি-র প্রবেশিকা পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম এবং ভারতে ৯৩তম স্থান পেয়ে দিল্লি আইআইটি-তে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ডাক্তার হওয়াই তাঁর স্বপ্ন। তাই নিটে বসেন।

Advertisement

মেধা-তালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে ছাত্রী মাত্র এক জন। প্রথম ২৫ জনের মধ্যে ন’জন ছাত্রী। সামগ্রিক ভাবে ছাত্রীদের পাশের হার বেশি। পরীক্ষার্থীর মোট সংখ্যাতেও ছাত্রদের টেক্কা দিয়েছেন ছাত্রীরা। সিবিএসই সূত্রের খবর, রূপান্তরকামীদের ফল খুব ভাল। এ বছর নিট দিয়েছিলেন আট জন রূপান্তরকামী। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনই উত্তীর্ণ হয়েছেন।

চলতি বছর থেকেই শুধু নিটের মাধ্যমে ডাক্তারিতে ভর্তির নিয়ম চালু হয়েছে। পরীক্ষায় বসেন ১১ লক্ষ ৩৮ হাজার পড়ুয়া। পাশ করেছেন ছ’লক্ষ ১১ হাজার জন। প্রথম হয়েছেন পঞ্জাবের নভোদীপ সিংহ। তিনি পেয়েছেন ৯৯.৯৯% নম্বর। দ্বিতীয় হয়েছেন অর্চিত গুপ্ত, তৃতীয় মণীশ মূলচন্দানি। দু’জনেই মধ্যপ্রদেশের।

নিট নেওয়া হয় ৭ মে। প্রশ্ন হয়েছিল ১০টি ভাষায়। কিন্তু পরীক্ষার পরেই প্রশ্নপত্র নিয়ে দেশ জুড়ে সমালোচনার ঢেউ ওঠে। অভিন্ন পরীক্ষা হলেও ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বাংলা ভাষায় পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৩৪ হাজার ৪১৭ জন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ইংরেজি বা হিন্দির তুলনায় বাংলার প্রশ্নপত্র অনেক কঠিন হয়েছে। পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন কিছু পরীক্ষার্থী। একই ভাবে মামলা হয় অন্যান্য রাজ্যে। তামিলনাড়ুতে এমনই একটি মামলার প্রেক্ষিতে নিটের ফল প্রকাশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ।

সুপ্রিম কোর্ট সেই স্থগিতাদেশ খারিজ করে ফল ঘোষণার নির্দেশ দেয়। নিটের ফল বাতিল করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছেন ১০ পরীক্ষার্থী। সেই মামলার শুনানি হবে ১০ জুলাই। সিবিএসই জানিয়েছে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই তারা ফল প্রকাশ করেছে। সর্বোচ্চ আদালত আবার যদি কোনও নির্দেশ দেয়, তা-ও মানা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন